মোঃ শাহ আলম: ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়নের মধ্যম শিলুয়া গ্রামে এই শিলা খন্ডটির অবস্থান। প্রাচীন শিলামূর্তির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের কারণে এই স্থানটি সে সময় থেকেই শিলুয়া বা শিল্লা নামে পরিচিতি লাভ করে। প্রাচীনকালে এই স্থানে বৌদ্ধ ধর্ম ও কৃষ্টির বিকাশ ঘটেছিল বলে ধারণা করা হয়।হাজার বছরের স্মৃতিতে অম্লান ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠান গড় ইউনিয়নের শিলুয়া গ্রামের এক প্রাচীন ঐতিহাসিক শিলা পাথরের ধ্বংসাবশেষ । শিলা পাথরটির গায়ে খৃষ্টপূর্ব দ্বিতীয় অব্দে প্রচলিত ব্রাক্ষ্মী লিপির চিহ্ন পাওয়া যায়। এরপর থেকে এখানে শিকারী আর্য জাতির পদাচরণের প্রমাণ পাওয়া যায় বলে ধারণা করা হয়। তৎকলীন সময়ে এখানে মানুষের বসবাস ছিল। যদিও তেমন কোন প্রতœতাত্ত্বিক নমুনা নেই।এটি এলাকায় শিল ঘর হিসাবে এর বেশ পরিচিতি। এর কারণ বিৃটিশ আমলে শিলটির উপরে একটা সুন্দর চাউনি দেওয়া হয়েছিলো আর জাঃয়গাটার চারপাশ লোহার রেলিং দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছিলো এবং এর রক্ষণাবেক্ষনের জন্য একজন দারোয়ান ছিলো। তবে কালের বিবর্তনে এখন আর রেলিং গুলো নেই আর দারোয়ন ও নেই। উল্লেখ্য যে, এখানকার স্থানীয় এক মিথ থেকে জানা যায়, যে এটি মহাশূন্য হতে ছিটকে আসা একটি শিলা খন্ড। এই শিলা খন্ডটি দেখতে বহু দূর দুরান্ত থেকে অনেক লোক আসে। অনেকের কাছে এটি এখনো জীবিত শিলা পাথর হিসেবে পরিচিত। হিন্দু সম্প্রদায় এ শিলা খন্ডকে ঘিরে পূঁজো অর্চনা করতো বলে জানা যায়। মানত করে শিলা খন্ডের নিচ থেকে মাটি খেত এক সময়। মানত করে মাটি খেলে মনের ইচ্ছে পূরণ হয়। শিলার ব্রাক্ষ্মী লিপিটি প্রতœতাত্ত্বিক সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী এটি সংরক্ষিত রয়েছে। তবে ফেনী শহর থেকে ছাগলনাইয়াার সড়কে ১২-১৩ কিলো মিটার দূরবর্তী কন্ট্রাক্টর মসজিদ বাজার হতে প্রায় ৩ কিঃ মিঃ দক্ষিণে মধ্যম শিলুয়া চৌধুরী বাজারের ৫০ গজ পশ্চিমে ও শিলুয়া চৌধুরী বাড়ীর পূর্ব পাশে এই শীল পাথরটি কালের সাক্ষী হয়ে আছে।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!