নুর উল্লাহ কায়সার: দাগনভূঞা উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশান নির্মাণ কাজ প্রায় ১ যুগ ধরে আটকে আছে। ভূমি জটিলতায় একেরপর এক নতুন সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় স্টেশানটির নির্মাণ করা যাচ্ছেনা। ফায়ার সার্ভিস না থাকায় ওই উপজেলায় প্রতিবছর অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়ে আসছে। এদিকে স্টেশান না থাকলেও সেখানে জনবল নিয়োগ পোস্টিং থাকা এবং একটি গাড়ি বরাদ্ধ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নিয়োগপ্রাপ্ত জনবলগুলো পাশ্ববর্তী উপজেলা কবির হাট ফায়ার সার্ভিসে কাজ করছেন। বরাদ্ধকৃত গাড়িটি ঢাকার একটি স্টেশানে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফায়ার স্টেশান না থাকায় দাগনভূঞায় অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে। এমতাবস্থায় দ্রুত ভূমি জটিলতা নিরসন করে ফায়ার স্টেশান স্থাপনের দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।
ফায়ার সার্ভিস ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১০-২০১১ অর্থ বছরে দাগনভূঞা ফায়ার সার্ভিস নির্মাণের জন্য ২২ লাখ টাকা দামে ৩৩ শতক জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারী ওই জায়গার মালিক পক্ষ আজিমুর রহমান গংসহ ১১ জন বাদী হয়ে উচ্চ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ভূমি সচিব, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশসকসহ ৬ জনকে বিবাদী করা হয়। মামলা জটিলতায় একপর্যায়ে ওই স্থানে স্টেশন স্থাপন কাজ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয় প্রশাসন। পরে ২০১৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ফায়ার স্টেশন স্থাপনের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন ৩৩ শতক জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। ২০১৮ সালে অধিগ্রহনকৃত ভূমির টাকা প্রকৃত মালিকদের হাতে হস্তান্তর করা হলেও সেখানে ভবন নির্মাণের মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হওয়া ও নির্মাণ সামগ্রীর উর্ধ্বমূল্যের কারণে ঠিকাদারী কর্তৃপক্ষ ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারেনি। সেই থেকে দাগনভূঞা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ কাজের ফাইলটি চাপা পড়ে আছে।
জানা যায়, পূর্বে ৩৩ শতক জমিতে ফায়ার সার্ভিস স্টেশান নির্মাণ করা হলেও বর্তমানে এর আয়তন বাড়িয়ে ৬৬ শতকে রূপান্তর করা হয়েছে। চলতি বছর থেকে নতুন ফায়ার স্টেশান গুলোতে পুকুর সংযুক্ত করে ভূমির আয়তন বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও স্টেশান কম্পাউন্ডে পুকুর ছাড়া ফায়ার স্টেশান নির্মাণ না করতে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বার্তা মোতাবেক দাগনভূঞা স্টেশানের জন্য অধিগ্রহনকৃত ৩৩ শতক জমি লাগোয়া আরো ৩৩ শতক জমি অধিগ্রহন করা না হলে স্টেশান নির্মাণ করা যাবেনা।
গণপূর্ত বিভাগের ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী সাদ মোহাম্মদ আন্দালিব জানান, দাগনভূঞা ফায়ার স্টেশান নির্মাণের জন্য দরপত্র আহবান করে কার্যাদেশ দেয়া হয়। কিন্তুু ভূমি জটিলতায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করতে পারেনি। জটিলতা নিরসনে দীর্ঘসূত্রিতায় দরপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় স্টেশন নির্মাণ করা যায়নি। ভূমি জটিলতা শেষ হলে পূনরায় ভবন নির্মাণের দরপত্র আহবান করা হবে। এদিকে ফেনী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মূৎসুদ্দী জানান, দাগনভূঞা ফায়ার স্টেশনের জন্য ২০২১ সালে ১২ জন ফায়ার ম্যান, ১ জন লিডার ও ২ জন গাড়ি চালকের একটি দল নিয়োগ দেয়া হয়। সেখানে স্টেশান নির্মাণ না হওয়ায় পাশ্ববর্তী কবির হাট ফায়ার স্টেশানে ওই জনবল স্থানান্তর করা হয়। সম্প্রতি আরো ৫ ব্যক্তিকে দাগনভূঞা ফায়ার স্টেশনে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা বর্তমানে জেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশানে সংযুক্ত রয়েছে। এছাড়াও দাগনভূঞা ফায়ার স্টেশানের জন্য বরাদ্ধকৃত গাড়িটি ঢাকা থেকে এনে পাশ্ববর্তী সেনবাগ ফায়ার স্টেশানে হস্তান্তর প্রক্রীয়া চলছে।
তিনি আরও জানান, দাগনভূঞায় ফায়ার স্টেশান নির্মাণের জন্য বর্তমানে ৩৩ শতাংশ ভূমি অধিগ্রহন করা আছে। নতুন প্রকল্প প্রস্তাবনা মোতাবেক সেখানে আরো ৩৩ শতাংশ জমি নেয়ার জন্য মালিক পক্ষের সাথে চুড়ান্ত পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। বরাদ্ধ সাপেক্ষে ভূমি অধিগ্রহণ শেষে প্রস্তাবিত ৭৬ প্রজেক্ট’র আওতায় সেখানে স্টেশান নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!