নিজস্ব প্রতিনিধি: ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনমনীয় মনোভাব ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি আন্তরিকতার টানে শত প্রতিকূলতার মাঝেও মাঠ ছাড়েনি। অকথ্য অত্যাচার, নির্যাতন, হামলা ও অসংখ্য মামলা সহ্য করে আওয়ামী লীগের ভিত্তি মজবুত করেছে তৃণমূল। আমি তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন কর্মী। আমি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করিনা। একজন আওয়ামী লীগ কর্মী হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি।তিনি আরও বলেন, ক্ষমতা কারো জন্যই চিরস্থায়ী নয়। আমি আজ সাংগঠনিক সম্পাদক কিন্তুু কাল এ দায়িত্বে নাও থাকতে পারি। ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কোন অহংকার করা যাবেনা। কারণ অহংকারই পতনের মূল। তিনি বিভিন্ন ধর্মের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, প্রত্যেক ধর্মেই সহনশীলতা ও সহাবস্থানের তাগাদা দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি রক্ষার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতাদের বক্তব্যের প্রশংসা করে বলেন, ফেনীতে নিজাম হাজারীর একক নেতৃত্বে জেলাজুড়ে আজ শৃঙ্খলার বলয় সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান অতিথি হুইপ স্বপন তার বক্তব্যের শুরুতে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট হাফেজ আহাম্মদকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার বাবা অনেক বেশি চালাক ছিলেন। কেননা শিক্ষকদের বেত্রাঘাত খেয়ে কোরআনের ৩০ পারা সূরা মুখস্ত করলে হাফেজ হয়। অথচ আপনার বাবা আপনাকে মাদ্রাসায় না পাঠিয়ে শুধুমাত্র নাম দিয়েই হাফেজ বানিয়ে ফেলেছেন। তিনি হাস্যরস করে আরও বলেন, একটু আগে পরিবার থেকে ফোন দিয়ে ভাত খেয়েছি কিনা জানতে চাইলে আমি তাকে বলি- কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী চলছে। আমি এখনো বক্তব্য দিই নি; বক্তব্য না দিলে আমাকে খেতে দেয়া হবেনা। এসময় উপস্থিত নেতাকমীরা হাসিতে লুটিয়ে পড়েন।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ফেনীর একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাফেজ আহাম্মদের সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক একে শহীদ উল্যাহ খোন্দকার এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী। সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাস্টার আলী হায়দার, সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল বশর মজুমদার তপন, সহ-সভাপতি আকরাম হোসেন হুমায়ূন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এম মামুনুর রশীদ মিলন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জহির উদ্দিন জহির, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক নারী সংসদ সদস্য জাহানারা বেগম সুরমা, দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল কবীর রতন, আখতার হোসেন, বদিউল আলম বেলাল, ফেনী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করিম উল্যাহ বিকম, সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল, ফেনী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনুল কবির শামীম, সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজি, ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন, পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার, ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল আলিম, দাগনভূঞা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার কামাল উদ্দিন, সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুবুল হক লিটন ও পরশুরাম উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল গফুর। সভায় বক্তারা ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপির নেতৃত্বের যোগ্যতার ভূয়সী প্রশংসা করে ফেনীর ৩ টি সংসদীয় আসনে অন্য কোন দলের প্রার্থীদের মহাজোট থেকে মনোনয়ন না দেয়ার দাবী জানানো হয়। বর্ধিত সভায় নিজাম হাজারী এমপি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদনের কপি উপস্থিত নেতাকর্মী ও গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে হাতে বিতরণ করেন।
তৃণমূল নেতারা অভিমানী হয়; বেঈমান নয় -সুজিত রায় নন্দী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেছেন, ১৫ আগস্টের ঘটনার পর আওয়ামীলীগের অনেক কেন্দ্রীয় নেতা দলের সাথে বেঈমানী করেছে। তখন কেন্দ্রে দলের নাম নেয়ার মত নেতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রতিটা জাতীয় সংকটে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে নড়ছড় থাকলেও তৃণমূল ছিলো বরাবরই আওয়ামীলীগের প্রাণ। দলীয় নেতৃত্বের ভূমিকায় তৃণমূল নেতারা অনেক সময় অভিমান করেছে বটে, কিন্তুু বেঈমানী করেনি। তারা সব সময়ই দলের পাশে থেকে দলকে শক্তিশালী করেছেন। তিনি আরও বলেন, আজ ফেনীতে যেসব জনপ্রতিনিধি রয়েছেন তারা প্রায় সকলেই ছাত্রলীগ থেকে উঠে এসেছেন। এজন্য আমি ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী হিসেবে গর্ববোধ করি। তিনি নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপির সু-শৃঙ্খল নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
ফেনীর আ’লীগ অনেক শৃঙ্খলিত -ফরিদুন্নাহার লাইলী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী বলেছেন, ফেনীর আমার প্রতিবেশি জেলা। এখানে আওয়ামীলীগ অতীতের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। ফেনীর আওয়ামীলীগের এ শৃঙ্খলিত দলীয় নেতৃত্ব দেখে আওয়ামীলীগের একজন কর্মী হিসেবে আমি গর্বিত। তিনি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য ফেনীতে নিজাম হাজারীর নেতৃত্বের প্রতি আস্থা এবং বিশ্বাস রেখে নেতাকর্মীদের সংগঠিত থাকার আহবান জানান।
শেখ হাসিনার সরকার, সারাজীবন দরকার -নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় ফেনী-২ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি বলেছেন, বর্তমান সরকারের সময়ে ফেনীতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড হয়েছে। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে আরো উন্নয়ন হবে। তাই আওয়ামীলীগের সরকার বারবার দরকার শ্লোগানকে পরিবর্তন করে শেখ হাসিনার সরকার সারা জীবন দরকার শ্লোগানটি চালু করা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ফেনীতে সর্বোচ্চ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করেছেন। বিশেষ করে ফেনীর মহিপালে ৬ লেইন ফ্লাইওভার নির্মাণ করেন। যাহা সারা দেশের মধ্যে প্রথম। এছাড়াও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দিয়ে ফেনীর শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার পথ সুগম করেছেন। সোনাগাজীতে বঙ্গবন্ধু শিল্পপার্ক স্থাপনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এখান থেকে ফেনীর মানুষ দারুনভাবে উপকৃত হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আপনাদের আগমনে ফেনীর তৃণমূল নেতারা আজ পুলকিত।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!