প্রফেসর মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম: ঈদ উল আযহা মুসলমানদের পবিত্র ধর্মানুষ্ঠান। প্রতি বছর ঘুরে ঘুরে পবিত্র দিনটি আসে।এটি মুসলমানদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব এবং এতে অনেক আবেগ ও অনুভূতি জড়িত। ইসলামের প্রতি প্রগাঢ় আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে পশু কোরবানির মাধ্যমে। পশু কোরবানির মাধ্যমে তারা তাদের অন্তরের পশুত্বকে কোরবানি দেয়।আল্লাহর নির্দেশে ইবরাহীম আ. তাঁর পুত্র ইসমাইল আ. এর পরিবর্তে দুম্বা কোরবানি দিয়ে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করে সারাজাহানের মুসলমানদেরকে সে আনুগত্যের শিক্ষা দিয়ে যান।যা মুসলমানরা পালন করে আসছে অত্যন্ত নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে। ২০২০ সালে করোনার মধ্যেও মুসলমানরা সতর্কতার সাথে কোরবানি দিয়েছে। উৎসবের পরিবর্তে ছিল সতর্কতার সাথে কোরবানি পালন।মানুষের আশা ছিল মহান রাব্বুল আলামিন হয়তোবা ২০২১ সালের কোরবানি উৎসবের সাথে পালনের সুযোগ করে দিবেন।কিন্তু বিধিবাম আমাদের পাপ এত বেশী হয়েছে, যার কারণে হয়তো আমরা এবারও সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।বরং করোনার দাপট দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার কঠোর লকডাউন দিয়েও বাস্তবতার নিরিখে জীবন জীবিকার স্বার্থে আবার এক সপ্তাহের জন্য শিথিল করেছে। কিন্তু করোনা মহামারীতো শিথিল হয়নি, মৃত্যুর মিছিল ও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সরকার উদ্বিগ্ন এভাবে বাড়তে থাকলে হাসপাতালের ব্যবস্হাপনা চরম বিপর্যয়ের মুখে নিপতিত হবে।অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিবে।এর উত্তোরনের জন্য সরকারি স্বাস্থ্যবিধি আমাদেরকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে ভ্যাক্সিন নিলেও। জনস্বাস্থ্যবিদরা মনে করেন ভ্যাক্সিন নেয়ার আগ পর্যন্ত মাস্কই বিকল্প ভ্যাক্সিন। তাই বাহিরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। হ্যান্ডস্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে, বারবার সাবান দিয়ে হাত ধৌত করতে হব। কোরবানির পশু কেনার জন্য আমরা অনেকে পশুর হাটে যেতে পারি,এই সময় অবশ্যই আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবো।কোরবানির পশু জবাইয়ের সময় আমাদেরকে কিছু বিষয় অবশ্যই সতর্কতার সাথে পালন করতে হবে।সরকারি সংস্হার নির্দিষ্ট স্হানে পশু জবাই করবো।কোরবানির পশুর উচ্ছিষ্ট ও বর্জ্য নির্দিষ্ট স্হানে ফেলবো,যাতে অপসারণকারীরা সহজে অপসারণ করতে পারে।বিশেষভাবে গ্রামাঞ্চলে গর্ত করে মাটি তে পুঁতে ফেলতে হবে। রক্ত ও অন্যান্য বর্জ্য সাথে সাথে পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।কোরবানির কাজ করার সময় মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। তাই পরিবেশ যাতে বিঘ্নিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। করোনার এই সময়ে যতটুকু সম্ভব আমরা শহর থেকে বাড়িতে যেতে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবো। তবে যদি পারা যায, স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা পরীক্ষা করে শুধু পরীক্ষায় নেগেটিভ আসা ব্যক্তিদেরকে বাড়ি বা অন্যত্র যাতায়াতের অনুমতি দেয় এবং পজিটিভ আসা ব্যক্তিদেরকে অনুমতি না দেয় তাহলে করোনার বিস্তার অনেকাংশে কমে যাবে। পরিবেশের সাথে সবকিছু জড়িত। পরিবেশ ভালো তো আমরা ভালো।তাই কোরবানির আগে-পরে হাট-বাজার ও কোরবানির স্হলে সুষ্ঠু পরিবেশ সুরক্ষায় আমরা এগিয়ে আসবো। এই বিষয়ে পরিবেশ ক্লাব বাংলাদেশ এর পরিবেশ বন্ধুরা নিজেরা সচেতন থাকবে এবং সমাজের অন্যদেরকে সচেতন করবে। আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন।পরিশেষে, সকলকে অগ্রিম ঈদ মোবারক জানিয়ে শেষ করছি।লেখকঃ শিক্ষাবিদ ও গবেষক এবং প্রতিষ্ঠাতা ও চীফ মেন্টর পরিবেশ ক্লাব বাংলাদেশ।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!