মো: কামরুল হাসান: নানা সমস্যার মাঝেও চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রেখেছেন ছাগলনাইয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল। দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যা থাকলেও বর্তমানে চিকিৎসাসেবায় উন্নতির পথে এগুচ্ছে বলে জানান খামারিরা। স্থানীয় খামারি মোহাম্মদ হোসেন, ওবায়দুল হক, লকিয়ত উল্যাহ, সাইফুল ইসলাম, শংকর দাশসহ কয়েকজন খামারি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আগে একসময় পশুর বিভিন্ন সমস্যার প্রতিষেধক ভ্যাক্সিন, ঔষধ, ডাক্তারের পরামর্শ এবং চিকিৎসাসেবা সময়মতো পাওয়া যেতনা। কিন্তু বর্তমানে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভেটেরিনারি সার্জন) ডা: মো: হারুন অর রশিদ যোগদানের পর থেকে তার দিকনির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে খামারিদের নিয়ে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পেইন এবং দক্ষ অভিজ্ঞতায় সু-চিকিৎসার সুফল পাচ্ছেন উপজেলার খামারিরা। উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিস সূত্রে জানাযায়, একসময় জনবল সংকটে থাকলেও বর্তমানে কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ১১টি পদের মধ্যে ৩টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। শূন্যপদগুলো হলো কৃত্তিম প্রজনন সহকারি (ভিএফএ) ২জন এবং এমএলএসএস ১জন। এছাড়াও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ছাগলনাইয়া উপজেলায় ছোট বড় গবাদি পশুর ৩৩৮টি খামারের মধ্যে দেশি বিদেশী গাভী, মোটাতাজাকরণ এবং উন্নত জাতের গরু রয়েছে ৩০ হাজার ১'শ'১৭টি। ছাগলের ২৪টি খামারের মধ্যে ছাগল আছে ৪ হাজার ৭'শ টি, ভেড়ার ৩টি খামারের মধ্যে ৩'শ'৭০টি ভেড়া, মুরগী ব্রয়লার ৬৬টি খামারের মধ্যে মুরগী আছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫'শ টি, লেয়ার মুরগী ১৬টি খামারের মধ্যে মুরগী আছে ৩৭ হাজার ৭'শ টি, সোনালী ৮০টি খামারের মধ্যে মুরগী আছে ৬ লাখ, কবুতর ৩৫টি খামারের মধ্যে কবুতর আছে ১৫ হাজার ৭'শ টি, কোয়েল ৫টি খামারের মধ্যে আছে ১৫ হাজার, ১৩টি হাঁসের খামারের মধ্যে মোট হাঁসের সংখ্যা ৫৩ হাজার ৫'শ'৪০টি। এরমধ্যে দেশি হাঁস ৪১ হাজার ৪'শ টি উন্নত জাতের হাঁস ১১ হাজার রাজহাঁস ১১'শ'৪০টি। এছাড়াও পুরো উপজেলায় দেশি মুরগী রয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার'টি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভেটেরিনারি সার্জন) ডা: মো: হারুন অর রশিদ দৈনিক স্টার লাইন'কে বলেন, উপজেলার ছোট বড় সকল খামারীদের মাঝে চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি খামারের জৈব নিরাপত্তা ও খামার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। সিজনাল রোগের প্রাদূর্ভাবের আগে টীকাবীজ প্রদানের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছি। এবার কোরবানীর ইদে মানুষ যাতে সরাসরি ও অনলাইনে কোরবানীর পশু সঠিক উপায়ে ক্রয় বিক্রয় করতে পারে, সে বিষয়ে আমাদের প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোরবানীর হাটগুলোতে নিয়মিত ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম মনিটরিং করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার মানুষের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল। তিনি আরো বলেন, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং যে তিনটা পদে জনবল সংকট রয়েছে সেগুলো নিরসনে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আমরা এই উপজেলার খামারিদের কাংক্ষিত সেবা দিতে সবসময় প্রস্তুত রয়েছি।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!