নিজস্ব প্রতিনিধি: ফেনীতে দুবাই প্রবাসী মো. সোহেল (৩৫) কে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার ঘটনার নেপথ্যে পরকীয়া নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্ধ ছিল। ঘটনার দিন এ নিয়ে তুমুল ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্ত্রী রোকেয়া আক্তার শিউলিকে মৌখিক তালাক দেয় সোহেল।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো বটি দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে স্বামীকে খুন করে দুই সন্তানকে নিয়ে গভীর রাতে পালিয়ে যায় শিউলি।রোববার সকালে ফেনীস্থ র্যাব-৭’র অধিনায়ক আব্দুল্লাহ আল জাবের ইমরান প্রেস ব্রিফিং করে জানান, নিহত সোহেলের স্ত্রী রোকেয়া আক্তার শিউলিকে গ্রেফতারের পর র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে সে এসব কথা স্বীকার করেন। তিনি আরও জানান, শনিবার রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাত ইউনিয়নের নারানকরা এলাকার ছুট্টু মিয়ার বাড়ী থেকে অভিযান চালিয়ে শিউলিকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার দেয়া তথ্যমতে খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত ধারালো বটিসহ সঙ্গে থাকা দ’ুটি মোবাইল,স্বর্ণালংকার ও দেশী-বিদেশী নগদ টাকা উদ্ধার করে র্যাব।এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে পরকীয়া নিয়ে তাদের দু’জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি হয়।একপর্যায়ে স্ত্রী শিউলিকে মৌখিকভাবে তালাক দেয় সোহেল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বটি দা দিয়ে স্বামীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে খুন করে তাদের ৭ বছর বয়সী একটি ছেলে ও ৪ বছর বয়সী একটি কণ্যা সন্তানকে নিয়ে গভীর রাতে পালিয়ে যায় শিউলি। পরে স্থানীয়রা ৯৯৯-এ ফোন দিলে ফেনী শহরের ছুফি সদর উদ্দিন সড়কস্থ তার ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনার পর থেকে শিউলি আক্তার পালাতক ছিলেন।শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে সোহেলের লাশ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়। পরে জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ীর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন জানান, নিহত সোহেল কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের খাটোরা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। তাঁর স্ত্রীর বাড়িও একই উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামে। এঘটনায় নিহতের মা নিরালা বেগম বাদী হয়ে পুত্রবধূ শিউলি আক্তারকে আসামী করে শনিবার ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!