এস.এন আবছার: জনবলের অভাবে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার ৮ বছরেও চালু হয়নি সোনাগাজী উপজেলার ডাকবাংলা সংলগ্ন মঙ্গলকান্দি ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি। অথচ হাসপাতালটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়েছিল। সবার প্রত্যাশা ছিল, এলাকায় হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা হওয়ায় তাদের আর উপজেলা বা জেলা সদরে ছোটাছুটি করতে হবে না চিকিৎসার জন্য। পোহাতে হবে না দুর্ভোগ। কিন্তু চিকিৎসক সহ প্রয়োজনীয় জনবল ও সরঞ্জামের অভাবে দীর্ঘ ৮বছরেও হাসপাতালটি চালু না হওয়াতে সে আনন্দে ভাটা পড়ে। এদিকে দীর্ঘ সময় পরিচর্চার অভাবে পরিত্যাক্ত হওয়ার পথে হাসপাতালের ভবন ও ভেতরের আসবাব সামগ্রী। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১০ সালের ২৪ মে হাসপাতালটির ভবন নির্মাণের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়। ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৮২ হাজার ৪৬ টাকা ব্যায়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রয়েল অ্যাসোসিয়েট এন্ড দেশ উন্নয়ন লিমিটেড ২০১৩ সালের ৭মে ভবন নির্মাণসহ যাবতীয় কাজ শেষ করে একই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর জেলা সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সমন্বয়ে হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট (এইচইডি) কে হাসপাতাল ক্যাম্পাস বুঝিয়ে দেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বুজে নেয়ার দীর্ঘ সময়েও হাসপাতালটি আর আলোর মুখ দেখেনি। দৃষ্টিনন্দন হাসপাতাল ক্যাম্পাসে মূল ভবনের পাশাপাশি রয়েছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন, ডক্টরস ও নার্স ডরমেটরিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো।এলাকাবাসী জানান, একটি হাসপাতালের অভাবে সোনাগাজী উপজেলার মঙ্গলকান্দি, চর মজলিশপুর, বগাদানা, নবাবপুর, আমিরাবাদ, চর দরবেশ ও ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের দুই লাখ লোকেরর চিকিৎসা সেবা ব্যহত হচ্ছিলো । তাদের সুচিকিৎসার লক্ষ্যে একটি হাসপাতাল স্থাপনের জন্য মির্জাপুর গ্রামের কয়েকজন দানবীর সমাজসেবক ১৯৬৪ সালে স্বাস্থ্য বিভাগকে তিন একর জমি দান করেন। কিন্তু সরকার সেখানে শুধু একটি পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র স্থাপন করে। এতে প্রাথমিক চিকিৎসা ছাড়া অন্য কোনো জটিল বা স্থায়ী চিকিৎসা দেওয়া হতো না। এ কারণে সংশ্লিষ্ট রোগীরা সোনাগাজী উপজেলা বা জেলা সদরের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে যেতে বাধ্য হয়। শেষে এলাকার জনসাধারনের সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতালটি নির্মাণের অনুমোদন দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়। সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ উৎপল দাস দৈনিক স্টার লাইন কে বলেন, হাসপাতালটির প্রশাসনিক অনুমোদন ও জনবলের জন্য সিভিল সার্জন মহোদয়ের মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে আবেদন করেছি। এবিষয়ে এখনো পর্যন্ত মন্ত্রণালয় থেকে কোন সিদ্ধান্ত বা আদেশ পাওয়া যায়নি। মন্ত্রণালয় যদি প্রশাসনিক অনুমোদন সহ জনবল প্রক্রিয়া চুডান্ত না করেন তাহলে তো আমাদের কিছু করার নেই।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!