নিজস্ব প্রতিনিধি: পরশুরাম ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আবুল খায়ের খন্দোকারের নাম পরিবর্তন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই বিষয়ে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আবুল খায়ের খন্দোকারে ছেলে আবদুল মোতালেব খন্দোকার ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( সার্বিক) ও মাদ্রাসার সভাপতি বরাবর প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছেন।
আবেদন পত্রে আবদুল মোতালেব খন্দোকার উল্লেখ করেন, আমার বাবা পরশুরাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যাম মরহুম আবুল খায়ের খন্দোকারের জীবদ্দশায় কতিপয় স্বার্থন্বেষী মহল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় জেলা প্রশাসককে ব্যবহার করে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতাকে বাদ দিয়ে কমিটি বিলুপ্ত করে এডহক কমিটি করার চেষ্ঠা করেন। সেসময় আবুল খায়ের খন্দোকার বাদী হয়ে জেলা প্রশাসকসহ ৪ জনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। দেওয়ানী মামলা নং-১২/০৪। আদালত ০২/০২/২০০৫ সনে আবুল খায়ের খন্দোকারের পক্ষে রায় প্রদান করে। বর্তমানে নতুন করে অন্য কেউ প্রতিষ্ঠাতা হওয়ার সুযোগ নাই। কেননা, আবুল খায়ের খন্দোকার ১ একর ১৬ শতক জমি দান করে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠাকালীণ সময়ে ভূমিকা রাখেন। শুধু তাই নয়, মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠা লগ্নহতে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা প্রদান ও মাদ্রাসার যাবতীয় রক্ষনাবেক্ষন কাজ করে আসছে আমাদের পরিবার।
মরহুম আবুল খায়ের খন্দোকার আদালত থেকে রায় পাওয়ার পর তৎকালীন জেলা প্রশাসক মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তফাকে মাদ্রাসার বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজপত্র হাজির করতে লিখিতভাবে নির্দেশ দেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তফা ১৫ টি বিষয়ে ডকুমেন্টসহ লিখিত জবাব দেন। জেলা প্রশাসক কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আবুল খায়ের খন্দোকারকে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও কমিটির সহ- সভাপতি মনোনীত করেন।
শুরু থেকে অদ্যাবধি পরশুরাম ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় ৪ জন অধ্যক্ষ দায়িত্বে ছিলেন। এরা সবাই নিকট আত্মীয়। প্রথম অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মোঃ বেলায়েত হোসেন (০১/০১/১৯৫৬- ৩১/১২/১৯৬৩) পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তার মেয়ের জামাই ২য় অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মোঃ রুহুল আমিন (১/১/১৯৬৪- ৩১/১/২০০৪ ইং) দায়িত্বে ছিলেন। এরপর তারই মেয়ে জামাই ৩য় আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মদ মোস্তফা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন ১/২/২০০৪ ইং হতে ৩০/৩/২০১১ ইং পর্যন্ত। বর্তমানে ওই মাদ্রাসায় ৪র্থ অধ্যক্ষ হিসেবে মোঃ নুরুল ইসলাম মজুমদার ৩১/৩/২০১১ হতে অদ্যাবধি দায়িত্বে রয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির প্রথম থেকেই ৩ জন অধ্যক্ষ মরহুম আবুল খায়ের খন্দোকারের পরিবার থেকে বেতন ভাতা গ্রহন করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমান অধ্যক্ষের কারসাজিতে প্রতিষ্ঠাতার নাম বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। অথচ মাদ্রাসার সকল দলিল দস্তাবেজ, কাগজপত্রে, মাদ্রাসার ভিতরের ও বাইরের সাইনবোর্ডে প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে মরহুম আবুল খায়ের খন্দোকারের নাম দীর্ঘদিন থেকে শোভা পাচ্ছে। এব্যাপারে বর্তমান অধ্যক্ষ মোঃ নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, মরহুম আবুল খায়ের খন্দোকার মাদ্রাসার জমিদাতা ও প্রতিষ্ঠাতা ঠিক আছে। তিনি ছাড়াও আরো দাতা আছে। তাদের থেকে কাউকে দাতা সদস্য করলে ক্ষতি কি? তিনি আরো বলেন, নাসিম কে জিজ্ঞেস করুন, তারা কি চায়। (নাসিম মরহুম আবুল খায়ের খন্দোকারের ছেলে)। এদিকে স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম অনৈতিক সুবিধা নিয়ে অন্যকে দাতা সদস্য বানাতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে। এব্যাপারে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী মরহুম আবুল খায়ের খন্দোকারের পরিবার ও স্বজনরা।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!