চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি: চৌদ্দগ্রামে সচেতনতার অভাবে প্রতিদিন মহাসড়ক পারাপারের সময় দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। আবার কেউ চিরদিনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেন। সরকার লাখ লাখ টাকা খরচ করে ফুটওভার ব্রীজ নির্মাণ করে দিলেও সচেতনতার অভাব ও ১-২ মিনিট সময় বাঁচাতে যাত্রীরা ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহার করছে না। এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার লাটিমীর রাস্তার মাথায় মহাসড়ক পারাপারে ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহার না করায় গত এক বছরে একাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সর্বশেষ গত ১৩ মে শুক্রবার রাতে পূর্ব ডেকরা গ্রামের এনামুল হক নিহত হয়েছেন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কের লাটিমী এলাকায় মহাসড়ক পারাপারের সময় ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহার না করায় প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনা এড়াতে রোববার রাতে আলকরা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শাহাদাত হোসেন শিমুলের উদ্যোগে মহাসড়কের ডিভাইডারের উপর বেড়া নির্মাণ করা হয়। এছাড়া রাতের বেলায় পথচারী ও গাড়ির যাত্রীরা যাতে ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহার করে সেজন্য লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।ফেনী যাওয়ার উদ্দেশ্যে মহাসড়কের ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহার করা নারী পুস্প বেগম বলেন, মহাসড়কের ডিভাইডারে মেম্বার শিমুলের উদ্যোগে বেড়া নির্মাণ ও লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে পথচারীরা ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহার করবে।
ইউপি মেম্বার শাহাদাত হোসেন শিমুল বলেন, গত কয়েক বছর করোনার সময় করোনায় মৃত্যুবরণকারীদের নিজ হাতে দাফন ও নিহতদের পরিবারকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছি। মহাসড়কের ডিভাইডারে বেড়া নির্মাণের বিষয়ে তিনি বলেন, সব সময় ভালো কাজের সাথে থাকার চেষ্টা করি। আমার এ চেষ্টায় যদি একজন মানুষও দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়, তাহলে একটি পরিবার বাঁচবে। এতে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে আমিও সওয়াব পাবো। তিনি লাটিমীর এলাকায় মহাসড়ক পারাপারে সকলকে ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহার করার অনুরোধ জানান। মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ একেএম মনজরুল হক আকন্দ বলেন, ‘জায়গাটি সরেজমিন পরিদর্শন করে স্থায়ী বেড়ার ব্যবস্থার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো’।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!