অক্টোবর-২০২১ থেকে মে-২০২২ পর্যন্ত আবেদন জমা ৩৬০৭২ টি পাসপোর্ট প্রদান করা হয়েছে ৩২১৫১ টি বাকি ৩৯২১ টি পাসপোর্ট প্রক্রিয়াধীন
জাতীয় পরিচয়পত্র ও অন্যান্য কাগজপত্রের তথ্যগত ভুলের কারণে অনেক আবেদনকারী কিছুটা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এসব সমসস্যা সমাধানে সবোর্চ্চ সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি।-সহকারী পরিচালক সাধন সাহা
বিশেষ প্রতিনিধি:পাসপোর্ট সেবা নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে অনেক সেবাপ্রার্থীর। দালাল-হয়রানি ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ যেন চিরচেনা চিত্র। তর্বে বর্তমানে ফেনী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের চিত্র ভিন্ন। এই অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এখন পাসপোর্ট করতে এসে কেউ হয়রানির স্বীকার হয়না বলে জানিয়েছেন সেবা গ্রহীতা ফেনী সদর উপজেলার কামরুল হাসান, রিয়াদ হোসেন ও সাখাওয়াত হোসেনসহ অনেক সেবা প্রার্থী।
সেবার মান বৃদ্ধি কারণ হিসেবে তারা জানান, পাসপোর্ট করতে এসে কোন ভোগান্তি হলেই সরাসরি পাসপোর্ট প্রতিষ্ঠানের সহকারী পরিচালকের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ রয়েছে। এতে করে যেকোন সমস্যা হলে আমরা সাথে সাথে সহকারী পরিচালককে অবহিত করার মাধ্যমে কোন প্রকার হয়রানি ছাড়াই সমস্যা সমাধান করা হয়। এখানকার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সেবা মনোভাবের কারণে ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে শুরু করে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই পাসপোর্ট’র আবেদন জমা পড়েছে ৩৬০৭২ টি। এর মধ্যে পাসপোর্ট গ্রহণ করেছেন ৩২১৫১ আবেদনকারী এবং প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আরো ৩৯২১ টি পাসপোর্ট। আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ফেনী ঘুরে দেখা যায়, পাসপোর্ট ভবনের ভিতরে বড় পরিসরে সেবাপ্রার্থীদের জন্য ঝোলানো আছে এক বিশেষ বার্তা। সেখানে লেখা আছে ‘আপনার পাশে আমরা’। পাসপোর্ট করতে এসে কোনো ধরনের ভোগান্তি সৃষ্টি হলে ২০৩ নম্বর কক্ষে সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। অনুরোধক্রমে- সহকারী পরিচালক। ’
এর ফলে প্রতিদিন নানা ধরনের সমস্যা নিয়ে এই কর্মকর্তার কক্ষে লাইনে দাঁড়িয়ে প্রায় শতাধিক সেবাপ্রার্থী সেবা নিচ্ছেন বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা। ছাগলনাইয়া উপজেলার এমরান হোসেন ও সোনাগজাী উপজেলার হায়দার আলী বলেন, এটি একটি চমৎকার উদ্যোগ। এতে করে কেউ কোন প্রকার অনিয়ম করার সুযোগ পাবেনা। নির্বিঘ্নে সেবা গ্রহীতারা পাসপোর্ট হাতে পাবেন। জানা যায়, ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে সহকারী পরিচালক সাধন সাহার যোগদানের পর থেকে বদলাতে শুরু করেছে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ফেনীর চিত্র। বিচক্ষণ এই কর্মকর্তার পরামর্শে এখানে বাড়ানো হয়েছে সেবা ডেক্স। এতে করে কোন প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই মিলছে সেবা।
অফিস সূত্রে জানা যায়, করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব কাটিয়ে বর্তমানে এই পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ২৫০ টি আবেদন জমা পড়ছে। আগে এসব আবেদনের বেশির ভাগ দালাল মধ্যস্থতায় জমা হলেও এখন আবেদনকারীরা নিজেরা লাইনে দাঁড়িয়ে তা জমা দিতে পারছেন। এতে কমেছে দালালদের দৌরাত্ম্য।
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ফেনীর সহকারী পরিচালক সাধন সাহা দৈনিক স্টার লাইনকে জানান, সেবা দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে এখানে যোগদান করেছি। দালাল ও হয়রানির অভিযোগ আছে, ছিল, হয়ত থাকবেই। তবে আমি যোগদানের পর প্রতিটি কাজে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। একই সাথে সচেষ্ট রয়েছি সেবা নিতে আসা জনগণের মুখে হাসি ফোটাতে। সেটা হোক সমস্যা সামাধান করে অথবা বিড়ম্বনার কারণ চিহ্নিত ও অবহিত করে বা সেবা প্রার্থীকে শান্তনা দিয়ে। তিনি আরো বলেন, জাতীয় পরিচয় পত্র ও অন্যান্য ব্যক্তিগত কাগজপত্রে ভুল তথ্য থাকার কারণে সেবা দিতে বিলম্ব হয়। এক্ষেত্রে সেবা গ্রহীতাদের যেকোন পরামর্শ ও সহযোগিতা করতে আমরা বদ্ধপরিকর। পাসপোর্ট অফিস ঘিরে সর্বত্রই দালালদের সিন্ডিকেট থাকে, এখানেও থাকতে পারে। তবে দালালদের অপতৎপরতা রোধে এই মধ্যে পুলিশের একাধিক অভিযানে অনেকে আটক ও সাজা হয়েছে। ফলে অফিস চত্বরে এখন আর দালালদের বিচরণ না থাকায় আবেদনকারীরা নিজেরাই লাইনে দাঁড়িয়ে আবেদন জমা দিতে পারছেন। এতে কোনো ধরনের অতিরিক্ত অর্থ লেনদেনের সুযোগ বা কারণ নেই।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!