নিজস্ব প্রতিনিধি: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। সোমবার ভোর ৬ টার দিকে ষষ্ঠীর মাধ্যমে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে আগামী ১৫ অক্টোবর শেষ হবে পাঁচদিন ব্যাপী এ পূজা উৎসব। পূজাকে কেন্দ্র করে ফেনীর ১৪৩ টি মন্ডপ সাজানো হয়েছে নতুন আঙ্গীকে। এখন ফেনীর সব মন্ডপে ঝলছে রঙ-বেরঙের সজ্জা। বিগত বিগত বছরগুলোতে করোনা মহামারীর কারণে পূজার আনুষ্ঠানিকতাকে একেবারেই ছোট পরিসরে উদযাপন করা হলেও এবার ১৮টি স্বাস্থ্যবিধি দিয়ে কিছুটা আনুষ্ঠানিকতা বাড়ানো হয়েছে। এর আগেই ফেনী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্রশীল জেলার জয়কালী মন্দিরসহ প্রধান মন্দিরগুলো পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন। ফেনী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ জানায়, করোনা সংক্রমণ এড়াতে আতশবাজি, আলোকসজ্জা, মেলার আয়োজন, আরতি প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, জনসমাগম পরিহারসহ ১৮টি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। চলতি বছর শারদোৎসব শুরু হয় ১১ অক্টোবর। তার আগে ৬ অক্টোবর মহালয়ায় শুরু হবে দেবী পক্ষ। ১১ অক্টোবর ষষ্ঠী, ১২ অক্টোবর সপ্তমী, ১৩ অক্টোবর অষ্টমী ও ১৪ অক্টোবর নবমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ অক্টোবর দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে। এবার দুর্গাদেবী আসবে ঘোটকে চড়ে আর যাবে দোলায়। জানা যায়, গত বছরের থেকে ৩টি মন্ডপ বেড়ে এবার জেলার ১৪৩টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তন্মধ্যে ফেনী পৌরসভায় ১১, দাগনভূঞায় ১৮, ছাগলনাইয়ায় ৫, ফুলগাজী ৩৩টি মন্ডপে পূজা উদযাপনের প্রস্তুুতি চলছে। এছাড়াও ফেনী সদর উপজেলায় ১টি বেড়ে এবার ৪৬টি মন্ডপে, সোনাগাজীতে ১টি বেড়ে ২৩ টি মন্ডপে ও পরশুরামে ১টি বেড়ে ৭টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফেনী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শুসেন চন্দ্র শীল জানান, দুর্গাপূজা কেবল ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি আমাদের দেশে সার্বজনীন সামাজিক উৎসবেও পরিণত হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১১ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ৫ দিনব্যাপী শারদীয় উৎসব পালনে মন্ডপ কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।তিনি আরো বলেন, করোনার এই সময়ে দ্বিতীয়বারের মতো শারদীয় দুর্গাপূজা এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিটি মন্ডপে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, দর্শনার্থী ও সবার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক-হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সব মন্দির কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য সার্বিক নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন। পূজায় যাতে কোনো দুষ্কৃতিকারী অপ্রীতিকর ঘটনা না করতে পারে সেজন্য গোয়েন্দা সদস্য, ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বরত থাকবেন। সবমিলিয়ে নিরাপত্তার দিকে দিয়ে যেন কোনো ধরনের ঘাটতি না হয় প্রতিবারের ন্যায় এবারও সেই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!