মোঃ কামরুল হাসান: ফেনীতে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। খাঁখাঁ করছে প্রখর রোদ, কোথাও নেই একটু স্বস্তির বাতাস। গাছ গুলো কেমন যেন মুখ লুকিয়ে আছে। এই তাপদাহে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবি ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো। রোদে তাদের গাঁ বেয়ে ঝরছে পানি। এমনি প্রচন্ড তাপ মাত্রার কারণে বেশ কিছুদিন যাবত তাপদাহের কবলে পুড়ছে ফেনী অঞ্চলের মানুষ।তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। সূর্যের প্রখর তাপে সাধারণ মানুষ ও খেটে খাওয়া মানুষের জনজীবন অতিষ্ঠ। গত কয়েকদিন বৃষ্টি না হওয়ায় প্রচন্ড খরতাপে ঘর থেকে বের হতে হিমশীম খাচ্ছে শ্রমিক দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া সব শ্রেণীর মানুষ। সামান্য স্বস্তি ও একটু শীতল পরিবেশের জন্য ছুটছে গাছের ছাঁয়াতলে। আর অতিরিক্ত গরমে শরীরকে একটু শীতল করতে বিভিন্ন শরবত ও ঠান্ডা পানির খোঁজে মানুষ ব্যাকুল হয়ে ছুটছে বিভিন্ন প্রান্তে। এ তাপদাহ আরো কয়েকদিন থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষসহ সকল প্রাণী। সাধারণ মানুষের দম যায় যায় অবস্থা। তবে শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন তীব্র ভোগান্তিতে। তীব্র গরম উপেক্ষা করেই তাদের যেতে হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে।ফেনী আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক মো. এমদাদুল হক জানান, গত রোববার ফেনীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস ও সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ২৮.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস ও সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ২৬.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।তিনি আরো জানান, বঙ্গোপসাগরে উত্তাল আবহাওয়া বিরাজমান। আগামী বুধাবর (২৬ মে) এর মধ্যে সাগরে সৃষ্ট লঘু চাপ ‘ইয়াস’ উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে লঘু চাপটির গতিবিধি খুলনা অঞ্চল থেকে পশ্চিমবঙ্গের দিকে ধাবিত হতে পারে। এদিকে জেলার প্রত্যন্ত শহরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, প্রখর রোদের কারণে ডাব দোকানের সামনে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। দোকানীরাও প্রতি ডাবে প্রচুর দাম হাকাচ্ছেন। ৩০ টাকার ডাব বিক্রি করছেন ৭০ থেকে ১’শ টাকায়। তালের ডাবেও চওড়া দাম হাকাচ্ছেন বিক্রেতারা। ১০ টাকার তালের ডাব বিক্রি করছেন ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের বাইরে। তবুও মানুষ কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে গরমের তৃষ্ণা নিবারন করতে এক ডাব দ’ুজনে ভাগ করে খাচ্ছেন। সচেতন মহল বলছেন, তীব্র গরমে হাঁসফাস করছেন মানুষ ও পশু পাখি। প্রতি বছরের তুলনায় এবার বৃষ্টি কম ও প্রচন্ড গরম হওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষের জনজীবন। প্রখর রোদ উপেক্ষা করেও কর্মস্থলে যাচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষ। জেলার বিভিন্ন স্থানে খোলা মাঠে বৃষ্টি এবং পানির জন্য ইস্তেখারা ও নামাজে আদায়ের পর বিশেষ মুনাজাত করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা। তারা আরো বলেন, জেলার বিভিন্ন স্থানে খাবার স্যালাইন ও পানি সরবরাহ করতে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতি আহবান জানান।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!