স্টার ডেস্ক:ফেনীর জননেতা মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, অবিসংবাদিত নেতা ও ফেনীর গভর্ণর মরহুম খাজা আহাম্মদকে ২১ শে ও স্বাধীনতা পদক দিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট দাবি জানিয়েছেন, জেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ও খাজা আহাম্মদ পরিষদ’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা হোসেন। মরহুম খাজা আহাম্মদ ১৯২০ সালের ২৬ শে মার্চ ফেনীর এক সম্ভ্রান্ত ও বিখ্যাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। জাতির এই সুর্য সন্তান ১৯৭৬ সালের ২৯ মে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
একান্ত আলাপচারিতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা হোসেন বলেন, আজ অনেকেই বঙ্গবন্ধুর ও খাজা আহাম্মদ’র মতো নেতা খুঁজেন। আমি বলি এখন ডিজিটাল যুগ। এখন ঐ সকল নেতা পাবেন কোথায় ? পৃথিবী যত ডিজিটাল হইছে মানুষের মনকর্ম ডিজিটাল হইবে এটাই স্বাভাবিক। এখন আমাদেরকে বর্তমান নেতাদেরকে মেনে চলতে ও থাকতে হবে। এতে কারো মনে কষ্ট পাওয়ার কোন কারণ নাই। যেমন আমরা এই সত্যকে ও বাস্তবতা মেনে চলছি।মরহুম খাজা আহাম্মদ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় নাম, স্কুল জীবনে তিনি স্বদেশী আন্দোলনে যোগদান করেন ১৯৪০/৪২ সনের দিকে ফেনীতে বারাহিপুরে বিমান বন্দরে ও ফেনী এলাকায় সড়কের কাজে শ্রমিকদের উপযুক্ত বেতন না দেওয়ায় সার্বিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে বেতন আদায় করেন খাজা আহাম্মদ। তখন হইতে খাজা আহমদ লেখাপড়া বাদ দিয়ে দেশের বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন ও জেলে যান।
তিনি আরো বলেন, ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে খাজা আহাম্মদ ফেনীতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। সভা, মিছিল ইত্যাদি ভাষার জন্য রাতদিন কাজ করে ফেনীতে সফলভাবে এই দাবীর জন্য ব্যাপক সাড়া ফেলেন। মায়ের ভাষা বাংলা দাবী বাস্তবায়ন করেন। আমার বয়স তখন ৭/৮ বছর। যেহেতু আমার বাড়ী ফেনী শহরে। আন্দোলনের কিছু দৃশ্য শেয়ার করতে গিয়ে বীর মু্িক্তযোদ্ধা মোস্তফা হোসেন বলেন, আমার মনে আছে, তখন ফেনীর লাকী সুলতান আহমদ, এম.এস হুদা, ডাক্তার ইছহাক চৌধুরী, মাওলানা আবদুল ওহাব, হেকিম মুন্সী, বড় বক্কর, আলহাজ¦ সৈয়দ আহমদ, রুহুল আমিন (ভূষি ব্যবসায়ী), বাঘা মন্দার, চেয়ারম্যান আবু বক্কর (ষ্টেশন রোড)সহ অনেকেই ভাষা আন্দোলনে কাজ করেন। তখন রাজনৈতিক সভা হতো ফেনীর খদ্দর পট্টিতে। সেখানে সোমবার ও বৃহস্পতিবার কাপড় ব্যবসা হতো সোমবার ও বৃহস্পতিবার বাজার বার ছিল। তখন খাজা আহমদ সম্পাদিত সাপ্তাহিক সংগ্রাম পত্রিকা প্রকাশিত হতো। উক্ত পত্রিকায় বিখ্যাত সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা এ.বি.এম মুছাও এই কাগজে কাজ করতেন। পরে পাকিস্তানের চৌকিদার আজকের প্রেসিডেন্ট হেডিং দিয়ে সংগ্রামে পত্রিকা প্রকাশিত হয় মার্শাল ‘ল’ এর বিরোধীতা করে। সংবাদ প্রকাশের পর সাপ্তাহিক সংগ্রাম বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান সরকার। এই পত্রিকা শ্রী রসিক লাল দাসও কাজ করতেন।ভাষা আন্দোলনের অনেক সাহসী খবর প্রকাশিত হইত। তখন খাজা আহাম্মদ এম.এস হুদাকে নিয়ে ফেনী ও গ্রাম অঞ্চলে ভাষা আন্দোলন জোরদার করার জন্য ব্যাপক কাজ করেন। খাজা আহাম্মদ স্বদেশী আন্দোলনে যুক্ত হয়ে তিনি খদ্দরের লুঙ্গি ও পাঞ্জাবী পড়তেন। তার দেখাদেখি ফেনীর আমরা রাজনৈতিক কর্মীরাও খদ্দরের কাপড় পড়তাম। দীর্ঘদিন খাজা সাহেব চেষ্টা করেও সাপ্তাহিক সংগ্রাম পত্রিকা পূণ:প্রকাশের অনুমতি না পেয়ে মাষ্টার পাড়ার এম.এম রমজান আলী (ফিরোজ লাইব্রেরী) নামে সাপ্তাহিক “আমার দেশ” পত্রিকা প্রকাশের অনুমতি লাভ করেন ও নিয়মিত প্রকাশিত হয়। মুক্তিযুদ্ধ কালে ভারতের বিলোনিয়া হইতেও খাজা আহাম¥দ সম্পাদিত “আমার দেশ” প্রকাশ করে। পত্রিকার দায়িত্ব পালন করেন শ্রী শ্রীদাশ চন্দ্র দাস। এই পত্রিকা মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। বিলোনীয়া হইতে প্রকাশিত আমার দেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রচার করে মুক্তি পাগল জনতাকে উৎসাহ ও সাহস প্রদান করা হইত। ১৯৫২ সালে খাজা আহমদ মফস্বল হইতে যেই ভাবে ভাষা আন্দোলনের জন্য সংগ্রাম করে এমন নেতা দেশব্যাপী আর কাহাকেও পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। ১৯৫৪ সালে খাজা আহমদ যুক্তফন্টের সাথে যুক্ত হয় এম.এল.এ নির্বাচিত হয়। পরে আবার জেলে যান। খাজা আহমদ ১৯৭০ সাল নাগাদ অনেকবার জেলে যান। প্রায় ১২/১৪ বছর জেল খাটেন।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭০ সালে ফেনী মহকুমা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী হিসাবে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের এম.এন.এ নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে ২৬ শে মার্চ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলে ফেনীতে আন্দোলন শুরু হয়। খাজা আহমদের নেতৃত্বে পবিত্র কোরান শপথ হয়, যতদিন বাংলাদেশ স্বাধীন না হবে ততদিন আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ ও সংগ্রাম চালিয়ে যাব। কোরান শপথের বর্তমানে আমি একমাত্র সদস্য জীবিত । সকলের দোয়া চাই। স্বাধীনতা সংগ্রামে খাজা আহমদ একটি ঐতিহাসিক নাম। এমন ত্যাগী নেতা বিরল। সেই কারণে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু খাজা আহাম্মদকে ফেনী জেলার গভর্ণর মনোনিত করে। এখানে উল্লেখ্য যে, খাজা আহমদ ঐ সময় তিনি ফেনী মহুকুমা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন না। পূর্বে ১৯৬৩ হইতে ১৯৭৫ নাগাদ ফেনী মহকুমা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিল।ফেনী মহকুমা সভাপতি না থাকলেও এ.বি.এম তালেব আলী ও এ.বি.এম মুছার বিরোধিতা থাকা স্বত্বেও বঙ্গবন্ধু খাজা আহমদকে ফেনীর গভর্নর নিয়োগ করেন। খাজা আহমদ গভর্নর হওয়ার পর ১৪ ই আগস্ট ৭৫ সন্ধায় পুরাতন গণভবন (রমনা পার্কের নিকট) বঙ্গবন্ধুর সাথে খাজা আহমদসহ আমরা সাক্ষাৎ করি। রাত ৮টায় বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করার পর বঙ্গবন্ধু গেলেন ধানমন্ডি ৩২, আমরা আসলাম সোনালী ব্যাংক কলোনী বি.আলম চৌধুরীর বাসায়। ঐ রাতে বঙ্গবন্ধুকে আমাদের শেষ দেখা। ভোর রাতে বঙ্গবন্ধুকে কুলাঙ্গার বাঙ্গালী হত্যা করে। এই হত্যার খবর জেনারেল জিয়াকে খবর দিতে গেলে তার জিয়া সাহেবের সহকারী দেখেন ভোর রাতে জিয়া সাহেব সেভ করছেন। এখন প্রশ্ন জাগে এত ভোররাতে তিনি সেভ করছেন কেন। সহকারীকে বলেন গো ফর ব্যাক কাস্ট। তাহলে বঙ্গবন্ধু হত্যার সব কিছুই জিয়া সাহেব জানতেন বা জড়িত ছিল মনে করার অনেক কারণ আছে। বাকিটুকু পাঠক হিসাবে করে দেখবে। আমরা কি আবার জিয়ার দলকে তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানাবো। আবার কি ২০০১ সালের মত হত্যার এবং প্রতিশোধের রাজীনীতি করব।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা হোসেন বলেন, স্বাধীনতা ও ২১ শে পদক পুরস্কার স্বাধীনতার পর অনেকেই পেয়েছেন। এতে আমার বলার কিছু নাই। যাদের ২১ শে ভাষা আন্দোলন ও ৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে ফেনীর জননেতা খাজা আহাম্মদের অবদান কোন অংশে কম না। খাজা আহমদ উক্ত দুইটি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার সব কিছু খবর নেওয়ার সময় কোথায় ? যারা এই তালিকা করেন তারা কেন খাজা আহাম্মদকে বাদ দিলেন। আজ সেটাই আমার প্রশ্ন। ভাষা আন্দোলনের সময়ে খাজা আহমদ নিজে আন্দোলন মিছিল মিটিং করে ও সাপ্তাহিক সংগ্রাম এবং সাপ্তাহিক আমার দেশ সংবাদপত্রে জোরাল সংবাদ পরিবেশন করে ও জনতাকে সাথে নিয়ে ভাষা ও স্বাধীনতা আন্দোলন বেগবান করেছে। পুলিশের লাঠির আঘাত ইত্যাদি গ্রহণ করেছে। খাজা আহাম্মদের অবদান কোন কারণেই ছোট করে দেখার সুযোগ নাই। প্রয়োজনে খাজা আহাম¥দের উপর সরকারী একটি বিবরণ সংগ্রহ করা যাইতে পারে। ভাষা আন্দোলেেন ফেনীর আবদুস সালাম শহীদ হয়েছে। ফেনীতে সালাম ষ্টেডিয়াম ও এই নামে একটি কমিউনিটি সেন্টার আছে। শহীদ সালামের গ্রামের বাড়ী ফেনীর দাগণভূঁঞা থানার মাতুভূঁঞা গ্রামের লক্ষনপুর যাদুঘর সহ অনেক কিছু আছে। এইগুলো করেছেন শেখ হাসিনার সরকার। ভাষা সংগ্রামে খাজাআহমদ ২১ শে পদক পাইলে ভাষা শহীদ ও আন্দোলনকারীদের আত্মা শান্তি পাইবে আশা করিজনবান্ধব শেখ হাসিনার সরকার খাজা আহমদকে ২১ শে পদক দিয়ে দেশবাসীকে খুশি করবেন। সব ভাল কাজই শেখ হাসিনার সরকার করে।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের অংশ হিসাবে খাজা আহাম্মদ ৬ দফা, ১১ দফা আন্দোলন, ৭১ এর নির্বাচন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার জন্য আমাদেরকে নিয়ে কোরান শপথ মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনটি রিসেপসন ক্যাম্প ও একটি ইয়থ ট্রেনিং ক্যাম্প পরিচালনা এবং মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাঞ্চলের অর্থ সব কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। ক্যাম্প চারটি হল রিসেপশন ক্যাম্প, ইকিনপুর, চোথাখোলা, বিলোনিয়া। খাজা আহমদ ক্যাম্প চীফ থাকিয়া আমাকে ডেপুটি ক্যাম্প চীফ করে মহুরী ইয়থ ট্রেনিং ক্যাম্প পরিচালনা করেন। সফলতার সহিত মুক্তিযুদ্ধ শেষ করে ফেনী এসে দেশ গঠনের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। ঢাকায় রাজারবাগ, পিলখানা ই.পি.আর ক্যাম্প পাকিস্তানি বাহিনী, বাঙ্গালী পুলিশ ও ই.পি.আর হত্যা করা আরম্ভ করে। কিছু প্রতিরোধ করে পুলিশ ও ই.পি.আর তার পরেই ফেনী একমাত্র পাকিস্তান বাহিনীর সাথে ফেনীর সিও অফিসে জমায়েত হওয়া পাকিস্তান বাহিনীর সাথে খাজা আহমদ এর নেতৃত্বে যুদ্ধ করে পাকিস্তান বাহিনীকেদেশের মধ্যে প্রথমেই পরাজিত করে। এই থেকে বুঝা যায় খাজা আহাম্মদ অনেক সাহস নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে। তাই খাজা আহাম্মদকে ২১ শে ভাষা পদক ও স্বাধীনতা পদক দুইটিই তিনি পাওয়ার উপযুক্ত ।
সম্প্রতি ফেনী ডেভেলপমেন্ট কমিউনিটি (এফ.ডি.সি) এর প্রতিষ্ঠাতা আমেরিকান প্রবাসী গোলাম মাওলা চৌধুরী খাজা আহাম্মদকে একুশে ও স্বাধীনতা পদক দানের জন্য দাবী জানিয়েছেন। আশা করি বঙ্গবন্ধুর কন্যা বিবেচনা করবেন ও খাজা আহাম্মদ ২১ শে ও স্বাধীনতা পদক পাবেন।পরিশেষে বলব আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আর আমাদের সন্তানেরা কোন পথে ? আমরা দেশ স্বাধীন করে কাদের হাতে দেশ দিয়ে যাচ্ছি আমাদের সময় থাকতে ভাবতে হবে!
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা হোসেন বলেন, সবার শেষে ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা একুশের প্রভাত ফেরী গানের রচয়িতা আবদুর গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি। আমার সাথে খাজা আহাম্মদের বন্ধু গাফফার ভাইয়ের প্রথমে পরিচয় ভারতে আগরতলা এম.পি হোষ্টেলে। তিনি স্ত্রী নিয়ে ঐ হোষ্টেলে উঠেছেন। খাজা সাহেবের নির্দেশ ছিল সকল প্রকার সহযোগিতা করতে। আমিও তাই করেছি। পরে যখন লন্ডনে যান আমি প্রতিবার । গাফফার ভাইয়ের লন্ডনের বাসায় গিয়ে সাক্ষাৎ করেছি। কমপক্ষে ২০/২৫ বার হবে। তিনি ঢাকায় আসলে আমার খবর নিতেন। ফেনীর সোনাগাজীর এম.পি মোশারফ হোসেন ও জাকি ভাইয়ের বন্ধুর ছিলেন। আমি তখন ওনাদের সাথে বর্ণালী এডভারটাইজিং এর পরিচালক ছিলাম। গাফফার ভাই মুক্তিযুদ্ধে নয় মাস দৈনিক বাংলায় ধারাবাহিক লেখা প্রকাশ করতেন। ঐ লেখায় আমার নাম এবং গাফফার ভাই সম্পাদিত সান্ধ্য দৈনিক আওয়াজ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। আমি উক্ত পত্রিকার ফেনী মহকুমা প্রতিনিধি ছিলাম ও দৈনিক ইত্তেফাক, সাপ্তাহিক জনতা (সম্পাদক ব্যারিষ্টার শওকত) এবং মাস্টার হায়দারের মাসিক নির্জর পত্রিকা এবং আবিদুর রহমান সম্পাদিত সাপ্তাহিক পিপলস’ পত্রিকার চট্টগ্রাম প্রতিনিধি ছিলাম।
চট্টগ্রাম হোটেল শাহজাহানে বঙ্গবঙ্গু সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, আমরা ডানও না বামও না। এই সংবাদ আমি সংগ্রহ করি। সাপ্তাহিক পিপলস পত্রিকায় বড় হেডিং দিয়ে প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশ হয়। ভাষা সৈনিক ও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের এবং জননেতা খাজা আহাম্মদের সহকর্মীদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!