সোনাগাজী প্রতিনিধি: তফসিল ঘোষণার আগেই সোনাগাজীতে জমে উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। গত ১৬ অক্টোবর জেলা আওয়ামী লীগ’র দলীয় প্রার্থী বাচাইয়ের লক্ষ্যে তৃণমূল নেতাদের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তৃণমূলের ভোটে বিজয়ীরা ইতোমধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে। তারা স্ব-স্ব ইউনিয়নে গণসংযোগ, শুভেচ্ছা বিনিময়, দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে পরামর্শ সভা ইত্যাদি কর্মকান্ডে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। অপর দিকে তৃণমূলের ভোটে পরাজিত প্রার্থীরা নানা ভাবে নানা মন্তব্য করছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা ও দিচ্ছেন কেউ কেউ, নির্বাচনী মাঠ অনুসন্ধানে দেখা গেছে এসব চিত্র। সোনাগাজী সদর ইউনিয়নে তৃণমূলের ভোটে হেরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শামছুল আরেফিন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি ইতোমধ্যে কয়েকটি স্ট্যাটাস দিয়ে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এসব স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন, আমি দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। কিন্তু মোটা অংকের টাকা দিয়ে উম্মে রুমা নামের এক নারী তৃণমূলের ভোট কিনেছেন। যা গ্রহন যোগ্য নয়, তফসিল ঘোষনার পর আমি প্রার্থী হব। আশা করি জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। ২ নং বগাদানা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ক.খ.ম ইসহাক খোকন পরাজিত হয়ে তৃণমূল ভোটারদের প্রতি ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন, সেখানে তিনি লিখেন া ‘মৃত্যুর সময় মোস্তাক পাগল হয়ে মরেছিলো, তোদের মৃত্যুটা কিভাবে হয় দেখার ইচ্ছা ’একই ইউনিয়নের আরেক প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জামাল উদ্দিন ছোট জামাল মন্তব্য করেছেন ‘যাকে তাকে পথ চিনিয়ে দেবেননা, বেইমান বিশ্বাস ঘাতকেরা পথ চেনা হয়ে গেলে আপনার পথেই কাটা বিচিয়ে দেবে’। ১ নং চরমজলিশপুর ইউনিয়নে তৃণমূল ভোটে হেরে গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার খায়ের। তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাস একটি দীর্ঘ পোস্ট দেন, যার একেবারে শেষে এসে তৃণমূল ভোটারদের প্রতি রাগ দেখিয়ে বলেন ‘মীর জাফরেরা এভাবে আমাদের মাঝে থাকে, এদের যত আপন করতে চাইবে এরা আপন হবেনা’।৬ নং চরচান্দিয়া ইউনিয়নে তৃণমূল ভোটে হেরে যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম মানিক। তিনি তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেন ‘তৃণমূলের ভালোবাসা-তৃণমূলের সাথে আছি থাকবো ’। ৮ নং আমিরাবাদ ইউনিয়নে তৃণমূল ভোটে হেরে যান প্রভাবশালী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান জহিরুল আলম জহির। এই বিষয়ে মোবাইল ফোনে কল করে তার মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যা হবার হয়েছে’ এটি বলে আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। উল্লেখ্য; গত ১৬ অক্টোবরের তৃণমূল নির্বাচনে উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে তৃণমূল ভোটে বিজয়ী হন। যথাক্রমে, ১নং চরমজলিশপুর ইউনিয়নে এম.এ হোসেন, ২ নং বগাদানা ইউনিয়নে আালাউদ্দিন বাবুল, ৩ নং মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নে মোশারফ হোসেন বাদল, ৪ নং মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নে রবিউজ্জমান বাবু, ৫ নং চরদরবেশ ইউনিয়নে নুরুল ইসলাম ভূট্টো, ৬ নং চরচান্দিয়া ইউনিয়নে মোশারফ হোসেন মিলন, ৭ নং সোনাগাজী সদর ইউনিয়নে উম্মে রুমা, ৮ নং আমিরাবাদ ইউনিয়নে আজিজুল হক হিরণ ও ৯ নং নবাবপুর ইউনিয়নে দেলোয়ার হোসেন।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!