মোঃ কামরুল হাসান: পিঠা কারই বা অপছন্দের। পিঠার স্বাদ জীবনে একবারও নেয়নি এমন লোক খুব কমই আছে। গ্রামবাংলার পাশাপাশি শহরের মানুষ সবারই পছন্দের একটি খাবার হচ্ছে পিঠা। বিভিন্ন পার্টি বা অনুষ্ঠানে বাহারী রকমের পিঠা বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকে। মুখরোচক খাবার হিসেবে পরিচিত এই পিঠার বিভিন্ন রকমের স্বাদের ও ডিজাইনের মধ্যে রয়েছে ভিন্নতা।স্বাদ ও রকমভেদে এই পিঠার নামও হয় ভিন্ন ভিন্ন। কিন্তু পিঠা আগে যেমন ঋতুভেদে আয়োজন করে খাওয়া হতো এখন আর খুব একটা দেখা যায় না। গ্রামের মানুষদের মধ্যেই এর প্রচলনটা কমে আসছে আর শহরের কর্মমূখী মানুষেরা সময়ের অভাবে পিঠার স্বাদটাই যেনো ভুলতে বসেছে। তাই পিঠার স্বাদ পেতে হলে চাই ইনস্ট্যান্ট তৈরি পিঠা। কোনো ঝামেলা ছাড়াাই খুব সহজে আপনি ঘরে তৈরি পিঠার স্বাদ পেতে পারেন। স্বাদে অনন্য সবার জন্য, আর তা সম্ভব করেছে ফেনীর ছাগলনাইয়া পিঠাঘর। কথা হয় এই পিঠা ঘর’র স্বত্ত্বাধীকারি রুহি মাওয়ার সাথে। আলাপকালে তিনি বলেন, এক সময় শখের বসে পিঠা তৈরি করলেও এখন আর্থিক সফলতা অর্জনের লক্ষ্যে বাণিজ্যিকভাবে শুরু করেছেন পিঠা তৈরির কাজ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব ও তার মায়ের কাছ থেকে শিখে এগুলো বাসায় তৈরি করেন। কারুকার্য খচিত সুস্বাদু, স্বাস্থ্যসম্মত ও মজাদার এসব পিঠা তৈরি করে ছাগলনাইয়াসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তিনি। অনলাইনে ‘ছাগলনাইয়া পিঠাঘর’ নামে একটি গ্রুপ চালু করে সেখান থেকে অর্ডার নিয়ে পিঠা তৈরি করে বিভিন্ন জায়গায় হোম ডেলিভারি দিয়ে থাকেন। স্নাতকোত্তরে পড়াশোনার পাশাপাশি বাহারী রকমের রুহি’র এই পিঠা তৈরি ও হোম ডেলিভারিতে সহযোগিতা করেন তার মা, বাবা ও ছোট ভাই।আবার অনেকে তাদের বাসায় গিয়েও পিঠা নিয়ে যান। তিনি এ পর্যন্ত ২৪ আইটেমের পিঠা তৈরি করে হোম ডেলিভারি দিয়েছেন। প্রকারভেদে দাম কম বা বেশি হয়ে থাকে। এরমধ্যে নকশী পিঠা প্রতি পিস ২০ টাকা নারিকেলের পাকন পিঠা পিস ১০ টাকা, নারিকেলের ভরা পিস ১০ টাকা, নারিকেলের ঝুনি পিঠা পিস ১০ টাকা, নারিকেলের ঝিনুক পিঠা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, নারিকেলের নাড়ু কেজি ৫০০ টাকা, মুগ ডালের পাকন পিঠা পিস ১০ টাকা, পেন কেক প্রতি পিস ১০ টাকা, রোল পিস ১৫ টাকা, তিলের পিঠা প্রতি পিস ১৫ টাকা, কুসুম পুরি পিস ৫ টাকা, পানতুয়া পিঠা প্রতি পিস ১০০ টাকা ফ্রুট কাস্টার্ড ৭০ টাকা, পাটিসাপটা পিঠা পিস ২০টাকা, মোগলাই প্রতি পিস ৪০টাকা, গোলাপ পিঠা প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, ফুলঝুড়ি পিঠা কেজি ৩০০ টাকা, হোমমেড গজা কেজি ২৫০ টাকা, পুড়িং কেজি ৪০০ টাকা, সুজির পিঠা কেজি ২৫০ টাকা, বিবিখানা পিঠা কেজি ৩৫০ টাকা, সেমায়ের নাড়ু কেজি ২০০ টাকা, মেরা পিঠা প্রতি কেজি ২০০ টাকা করে বিক্রি করেন। এগুলো তৈরি করতে চালের গুড়া, আটা, ময়দা, চিনি, দুধ ইত্যাদি উপকরণ লাগে। রুহি মাওয়া আরো বলেন, সম্পূর্ণ ঘরোয়া পরিবেশে সুস্বাদু, মজাদার ও স্বাস্থ্যসম্মত পিঠা তৈরি করে থাকি। সরকারি পৃষ্ঠ-পোষকতা পেলে সামনে আরো বড় পরিসরে ভালোভাবে করার আশা প্রকাশ করেন। পিঠা কিনতে আসা নারী উদ্যোক্তা সঞ্চিতা বণিক বলেন, ছাগলনাইয়া পিঠা ঘরের পিঠা স্বাস্থ্যসম্মত, স্বাদে এবং গুণে আসলেই অনন্য। রুহির হাতে নিপুণ কারুকার্য খচিত তৈরি করা পিঠা আমার অনেক ভালো লাগে। আমি সবসময় আমার বাচ্ছাদের জন্য এখান থেকেই পিঠা নিয়ে যাই।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!