স্টার ডেস্ক: দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার অন্যতম প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফেনী সরকারি কলেজ। ১৯২২ সালের ৮ আগষ্ট শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হওয়া এ বিদ্যাপিঠটি রোববার শতবর্ষী প্রতিষ্ঠানের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। চলমান করোনা পরিস্থিতি ও স্বাস্থ্যবিধির কারণে নিরবেই চলে গেল ফেনী সরকারি কলেজের শর্তবর্ষ উদযাপন কার্যক্রম। বিভিন্ন তথ্যভান্ডার থেকে সংগৃহীত তথ্য মতে, ১৯১৮ সালে শুরু হয় কলেজটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ। ১৯২২ সালে খান বাহাদুর বজলুল হক একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করেন এর প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন। কলেজ পরিচালনা কমিটির প্রথম সভাপতি ছিলেন, তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক আকরামুজ্জামান খান এবং সেক্রেটারী ছিলেন মৌলভী আব্দুল খালেক।কলেজটি প্রতিষ্ঠার তহবিল সংগ্রহের বিষয়ে জানা যায়, এটি মূলত স্থানীয় বিদে্যুাৎসাহীদের দানেই প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্নে স্থানীয়ভাবে ২০ হাজার টাকা চাঁদা সংগ্রহের পর তৎকালীন নোয়াখালী জেলা বোর্ড থেকে ৫০ হাজার টাকা তহবিল পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ফেনীর আমিরগাঁও’র জমিদার চন্দ্রীচরণ সাহা ৪ হাজার, নোয়াখালীর জমিদার কুমার অরুণ চন্দ্র সিংহ বাহাদুর ২ হাজার টাকাসহ তৎকালীন জমিদার ও দানবীর ব্যক্তিরা বিভিন্ন অংকের সহায়তা দেন। ১৯২৬ সালের ১০ আগস্ট তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের মহামান্য গভর্ণর স্যার হিউ ল্যান্সডাউন স্টিফেনশন কে সি আই, এস আই সি এস কলেজের মূল ভবনের দোতলা উদ্বোধন করেন।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, ফেনী সরকারি কলেজ ছিলো ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষীপুর জেলার একমাত্র উচ্চ শিক্ষার পাঠশালা। ধারাবাহিক সাফল্য থাকায় ১৯৩৭ সালে কলেজটি ক্যালকাটা গ্যাজেটে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। ১৯৭৯ সালের ৭ মে কলেজটি জাতীয়করনের ঘোষণা আসে। প্রতিষ্ঠার প্রথম বছরেই বাংলা, ইংরেজি, আরবি, ফারসি, সংস্কৃত, গণিত, ইতিহাস ও যুক্তিবিদ্যা বিষয়ে ১৪৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে আইএ ক্লাশ চালু হয়। তৎকালীন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭১ জন ছিল মুসলিম ধর্মের অনুসারী। কম সময়েই এর সুনাম ছড়িয়ে পড়ায় ১৯২৪ সালে কলেজটিকে প্রথম শ্রেনীর মর্যাদা দেয়া হয়। একই সাথে আরবি ও ইতিহাস বিষয়ে অনার্সসহ ডিগ্রী পর্যায়ে বি.এ কোর্সে পাঠদানের অনুমোদন পায় এ কলেজটি। পরে ধারাবাহিকভাবে ১৯৪১ সালে আইকম, ১৯৪৭ সালে আইএসসি, ১৯৬২ সালে বিকম, ১৯৬৪ সালে বিএসসি, ১৯৯৭ সালে অনার্স কোর্স চালুর অনুমোদন পায় ফেনী কলেজ। পরবর্তীতে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে ইসলামের ইতিহাস ও রসায়ন এবং ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ইংরেজি ও প্রাণিবিদ্যা বিষয়ে অনার্স চালু হয় এ কলেজে। ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে পদার্থবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা ও ইতিহাস, ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে দর্শন বিষয়ে অনার্স চালু হয় এ কলেছে। উচ্চমাধ্যমিক, ডিগ্রী, ১৫ বিষয়ে অনার্স, ১০ বিষয়ে মাস্টার্স প্রিলিমিনারী ও ৭ বিষয়ে মাস্টাসসহ ২২ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন। করোনার প্রভাব কেটে যাওয়ার পরই কলেজটির শতবর্ষ উদযাপন বিষয়ে যাবতীয় কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সহযোগী অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন মিলন।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!