সোনাগাজী প্রতিনিধি: কোভিড-১৯ সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় ষষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিতব্য পৌরসভা নির্বাচন ও ১ম ধাপের ইউপি নির্বাচনগুলো স্থগিত হতে পারে এমন আশংকায় হতাশা বিরাজ করছে সোনাগাজী পৌরসভা নির্বাচনের প্রার্থী শিবিরে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে নির্বাচন স্থগিতের গুজব ছড়িয়ে পড়লে হতাশা দেখা যায় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী সহ তাদের সমর্থকদের মাঝে। মঙ্গলবার প্রার্থীদের গণসোংযোগ মাইকিং সহ নির্বাচনী কাজ চালিয়ে গেলেও ঘুরেফিরে আগামী ১১ এপ্রিল নির্বাচন হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নই ছিলো সবার মুখে। করোনা পরিস্থিতি অবনতির পর সরকারের পক্ষ থেকে ১৮ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। উক্ত নির্দেশনা জরির পর জরুরী বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে অনির্ধারিত বৈঠকে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ভোট নিয়ে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ‘৩১ মার্চের কয়েকটি নির্বাচন রয়েছে। এ নির্বাচনগুলো হবে। তবে ১১ এপ্রিল ইউপি, পৌর ও সংসদের উপ-নির্বাচন রয়েছে। এ বিষয়ে অনির্ধারিত বৈঠকে আলোচনা হলেও ১ এপ্রিল কমিশন সভার পর সিদ্ধান্ত জানানো হবে। প্রথম ধাপে ১৯ জেলার ৬৪ উপজেলার ৩৭১ ইউপি, ষষ্ঠ ধাপের ১১ পৌরসভা ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনের প্রার্থীরা এখন প্রচারে রয়েছেন। সোমবার সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়সহ সকল ক্ষেত্রে সব ধরণের জনসমাগম সীমিত করাসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার।সব ধরনের জনসমাগম (সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/অন্যান্য) সীমিত করতে হবে। উচ্চ সংক্রমণের এলাকায় সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ থাকবে। বিয়ে/জন্মদিনসহ যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।সার্বিক পরিস্থিতিতে ভোট পেছানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, “১৮ দফা নির্দেশনার পর কমিশন অনির্ধারিত আলোচনায় কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবারের কয়েকটি নির্বাচন রয়েছে তা হবেই। কিন্তু ১১ এপ্রিলের বিষয়ে বৃহস্পতিবারের আনুষ্ঠানিক কমিশন বৈঠক রয়েছে। সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে এরপর তা জানানো হবে।হাতাশার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রার্থীরা দৈনিক স্টারলাইন প্রতিবেদকের কাছে বলেন, অনেক চাপের মধ্যেও নির্বাচনী কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। নির্বাচন স্থগিত হলে আমাদের কর্মীদের অন্যরা ভূল বুজিয়ে কিংবা চাপ প্রয়োগ করে নিষ্ক্রীয় করার চেষ্টা করতে পারে। তাছাড়া নতুন করে পোস্টার চাপানো এবং সাঁটানো সহ সার্বিক প্রচারণা আবার করতে হবে। যার জন্য সময় এবং অর্থ দুটোই বেশী লাগবে।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!