নিজস্ব প্রতিনিধি: ফুলগাজী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে আগামী ১১ নভেম্বর। বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন থেকে এ ঘোষণা আসার পর নির্বাচনে প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকদের উচ্ছ্বাস করতে দেখা যায়। কেউ কেউ আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও (ফেসবুক) নিজের প্রার্থী হওয়ার কথা জানিয়ে দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে প্রার্থীরা শুরু করেছেন তাঁদের নির্বাচনী প্রস্তুতি। তবে দলীয় মনোনয়নের টিকেট পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন প্রার্থীরা। ফুলগাজী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে আগামী ১১ নভেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিয়ন গুলো হচ্ছে, ফুলগাজী সদর, মুন্সীরহাট, দরবারপুর, আনন্দপুর, আমজাদহাট ও জিএমহাট ইউনিয়ন। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পরই দলীয় মনোনয়নের টিকেট পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন এসব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের নারী প্রার্থীরা। ইতিমধ্যে নির্বাচনের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদে অনেক প্রার্থীকে ইউনিয়নের বিভিন্ন মসজিদে নামাজ আদায়ের পাশাপাশি কুশলাদি বিনিময় করতেও দেখা যাচ্ছে। সরব হয়ে ওঠেছে গ্রামের চা দোকান গুলো। ভোটারদের মাঝেও নির্বাচনী আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে। ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের নিলখী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানু মিয়া বলেন, চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী নির্বাচন করতে তৃণমূল পর্যায়ের ওয়ার্ড সভাপতি ও সম্পাদকের মুল্যায়ন বেড়েছে। প্রার্থীরা এখন নিয়মিত তাঁর সাথে যোগাযোগ করছেন। কথা হয় ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, করোনার কারনে ভোট হয়তো পিছিয়ে পড়েছে। তবে মাঠ থেকে কখনো তিনি দুরে সরে যাননি। বরং করোনাকালে মানুষের পাশে ছিলাম এবং নিজের সাধ্য অনুযায়ী মানুষকে তিনি সহযোগিতা করেছেন।ফুলগাজী উপজেলা জাসদের সভাপতি দুলাল বৈদ্য জানান, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাসদের প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। তিনি প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করতেছেন আগামী ২/১ দিনের মধ্যে তা কেন্দ্রে পাঠানো হবে।ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না বিএনপি। ফুলগাজীর ছয়টি ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী দিবে না বলে নিশ্চিত করছেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব আবুল হোসেন। তিনি বলেন, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নই বিএনপির দুর্গ। ভোট হলে বিএনপি বিপুল সংখ্যক ভোটে জয়লাভ হবে। ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আনন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হারুণ মজুমদার বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে সম্পৃক্ত থেকে সাধারণ মানুষের যারা আস্থা অর্জন করেছেন, দল নিশ্চয় তাদের মূল্যায়ন করবে। দলের কোন কর্মসূচিতে নেই, জনগণের সাথে নেই কিন্তু দলীয় ফোরামে এসেই নমিনেশন চাইবেন তা হবেনা। ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল আলিম বলেন, আগামী ৮ অক্টোবর জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়ে প্রার্থী নির্বাচনে দলের তৃণমূল পর্যায়ে ভোটাভুটি হতে পারে। এতে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন। ফুলগাজী উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ভোট গ্রহণ ২য় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ নভেম্বর। মনোনয়নের দাখিলের শেষ তারিখ ১৭ অক্টোবর, বাছাই ২০ অক্টোবর ও প্রত্যাহার ২৬ অক্টোবর।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!