নজরুল বিন মাহমুদুল: বছর ঘুরে ত্যাগের মহিমা নিয়ে আবারো এলো পবিত্র ঈদুল আযহা। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ঈদুল ফিতরের মতো আরেকটি আনন্দ উৎসব এই পবিত্র ঈদুল আযহা। এদিন ধনী-গরীব, রাজা-প্রজা সকলেই ঈদগাহে সমবেত হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দু’রাকাত নামাজ আদায় করবে।আর সামর্থ্যবান মুমিন বান্দারা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের আশায় শরীয়ত নির্দেশিত পন্থায় তাদের কোরবানির পশু আল্লাহর নামে কোরবানি করবে। এর মাধ্যমে মহান আল্লাহর মেহমানদরী গ্রহণের সৌভাগ্য অর্জন করবে।পবিত্র ঈদুল আজহাকে উপলক্ষ্য করে দেশে হাজার হাজার পশু জবাই করা হয়। এতে করে প্রত্যেকটি পশু থেকে কিছু উচ্ছিষ্টাংশ বের হয় যা, আমাদের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। উচ্ছিষ্টাংশ যত্রতত্র ফেলে রাখার দরুণ পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হতে পারে। তাই আমাদের উচিত পশুর বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে চাপা দিতে রাখা। এতে করে উচ্ছিষ্টাংশের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমরা আমাদের পরিবেশকে রক্ষা করতে পারব। আমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে পশুর উচ্ছিষ্টাংশ অপসারণে দায়িত্ব পালন করলে এর বিরুপ প্রভাব আমাদের পরিবেশের উপর পড়বেনা। তাই আমাদের সকলেরই নিম্নোক্ত বিষয়গুলো মেনে চলা উচিত।১। পশু জবাইয়ের পূর্বে নির্দিষ্ট একটি স্থানে গর্ত করে নিতে হবে।২। গর্তের মধ্যে রক্ত, গোবর ও পরিত্যাক্ত অংশ রেখে মাটি চাপা দিতে হবে।৩। জবাইকৃত পশুর রক্ত ও অপ্রয়োজনীয় অংশ নর্দমা কিংবা যেখানে সেখানে ফেলানো যাবেনা। ৪। জবাইকৃত পশুর উচ্ছিষ্টাংশ ডাস্টবিন ব্যতিত অন্যত্র ফেলা যাবেনা।৫। কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য দ্রুত অপসারণের জন্য প্রয়োজনবোধে নিকটস্থ সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদকে সংবাদ দিতে হবে।৬। কোরবানির পরে আপনার পরিবেশ যাতে দূষিত না হয় সেজন্য যত দ্রুত সম্ভব পশুর রক্ত, মল-মূত্র পরিস্কার করুন।৭। কোরবানির বর্জ্য অপসারণ বা কোরবানির গোশত বিতরণে পরিবেশ সম্মত পাত্র বা ব্যাগ ব্যবহার করুন। কোরবানি একটি ধর্মীয় অনুশাসন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। তাই সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!