ছাগলনাইয়া প্রতিনিধি: ছাগলনাইয়ায় বিয়ের ২ মাসের মাথায় রোকসানা আক্তার লিমা (১৮) নামে এক নববধূ গলায় ওড়না পেঁছিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। সে উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের পশ্চিম দেবপুর মৌলভী বাড়ীর আলী আসাদের (২২) স্ত্রী।জানা যায়, গত রমজানে এক সপ্তাহ আগে পশ্চিম দেবপুর মৌলভী বাড়ীর পাকিস্তান প্রবাসী আবু তাহেরের একমাত্র ছেলে আলী আসাদ ও ফুলগাজী উপজেলাধীন আমজাদহাট ইউনিয়নের ফেনাপুস্করনি গ্রামের মোঃ মোস্তফার মেয়ে রোকসানা আক্তার লিমা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তাদের দু’জনের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। আসাদের সাথে বিয়ে না দিলে লিমা আত্মহত্যা করবে বলে বাবা মাকে হুমকি প্রদান করেছিলো বলেও জানা গেছে। অতঃপর প্রেমের সম্পর্ক পারিবারিক বিয়েতে রুপ নেয়। শুক্রবার সকাল ৬ টার সময় স্বামীর বাড়ীতে নিজ কক্ষে লিমার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাশ তার স্বামী। জীবিত অবস্থায় সে ঝুলছে ধারণা করে তাৎক্ষণিক তাকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নিচে নামিয়েছে বলে জানায় স্বামী আসাদ। ততক্ষণে সে আর জীবিত নেই বুঝতে পেরে তারা ছাগলনাইয়া থানার পুলিশকে বিষয়টি অবগত করে। খবর পেয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ছাগলনাইয়া সার্কেল) সোহেল পারভেজ ও ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান এবং ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা এ বিষয়ে কেউ সঠিক তথ্য দিতে না পারলেও লিমার স্বামীর বাড়ীর লোকজন জানান, আসাদের সাথে লিমার প্রেমের সম্পর্কের পরিনতি স্বরুপ বিয়ে হয়েছে দুমাস আগে। এর মধ্যে পরস্পর জানতে পেরেছি আসাদের সাথে সম্পর্ক হওয়ার আগে অন্য কোন এক ছেলের সাথেও লিমার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। বৃহস্পতিবার রাতে ঘুমানোর সময় লিমা তার মুঠোফোনে অজ্ঞাত ব্যক্তির সাথে কথা বলছে এমন সন্দেহে আসাদ ও লিমার মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। পরে সকালে শুনতে পাই লিমা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছাগলনাইয়া থানা পুলিশ লিমার স্বামী আসাদ ও শ্বাশুড়ি জাহানারা বেগমকে (৪৫) থানায় নিয়ে যায়। এবিষয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ছাগলনাইয়া সার্কেল) সোহেল পারভেজ জানান, আমরা লাশ জেলা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে এ মৃত্যুর কারন নিশ্চিত হব। ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহার দিলে আমরা মামলা রুজু পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিবো। লিমার লাশ ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে তার পিত্রালয় ফুলগাজীতে নেয়া হয়েছে বলে জানা যায়। রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত এবিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ থানায় আসেনি বলে জানান ওসি শহিদুল ইসলাম।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!