এস.এন আবছার: চলতি মৌসুমে ফেনী নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে প্রচুর ইলিশ। কিন্তু অসাধু আড়তদার ও দাদন-দাতাদের কারসাজিতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারণ জেলেরা। অন্যদিকে বাজারে ইলিশের দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। সোনাগাজীর স্থানীয় বাজারে টাটকা ইলিশ মাঝারি ৫৫০ টাকা (কেজিতে ২ পিস) টাকা এবং বড় ৮’শ গ্রাম থেকে ১ কেজি ৭’শ থেকে ৮’শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এই দামে ইলিশ কেনা দরিদ্র পরিবারের জন্য কষ্টসাধ্য হলেও মধ্য বিত্তরা ঠিকই কিনছেন ইলিশ।
ফেনী নদীর দক্ষিণে সন্ধীপ চ্যানেল হয়ে বঙ্গোপসাগর থেকেই মূলত ফেনী নদীতে জোয়ারের সাথে ইলিশ প্রবেশ করে। তবে স্থানীয় জেলেরা বোট (ইঞ্জিন চালিত বড় নৌকা) নিয়ে বঙ্গোপসাগরেও ঢুকে পড়ে মাছ ধরতে। অন্যান্য বারের তুলনায় এবার ভালো ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে বলে জেলেদের কাছে শোনা গেছে। অনুসন্ধানে সোনাগাজীর উপকূলীয় অঞ্চল জেলে পাড়ায় গিয়ে জানা যায়, কিছু আড়তদার নিজেরা বোট এবং জাল কিনে সেই বোট ও জাল ব্যাবহার করে মাছ ধরতে বাধ্য করছে জেলেদের। কেউ আবার খরা মৌসুমে দরিদ্র জেলেদের দাদন দিয়ে কিছু অসাধু লোক তাদের কাছে মাছ বিক্রি করতে বাধ্য করে আসছে। এতে তারা বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে হয়। দরিদ্র জেলেদের স্বার্থে এসব বিষয়ে কোন প্রতিষ্ঠানের তদরকি না থাকায় দিন দিন বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে আড়তদার ও দাদন দাতারা।
আরো জানা যায়, বিশ্বে উৎপাদিত ইলিশের ৮৬ শতাংশের বেশি মেলে বাংলাদেশের নদ-নদীতে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালে বাংলাদেশের ইলিশ ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়। বর্ষা মৌসুম এলেই বছর বছর ডিম ছাড়তে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ চলে আসে নদীর মোহনায়। এ সুযোগে জেলেরা ইলিশ ধরতে নামেন নদী থেকে সমুদ্রে। ভরা মৌসুমে ইলিশে ভরে যায় জেলের নৌকা। জেলের মুখে দোল খায় হাসি। তাই বাজারেও কিছুটা কম দামে মেলে ইলিশ। ইলিশের প্রজনন মৌসুম ঘিরে গেল ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার। নিষেধাজ্ঞা শেষে এখন জাল ফেলে ইলিশ ধরে জেলেরা খুশি। দাদন দাতা মহাজনদের হাত থেকে জেলেদের মুক্ত করতে পারলে ইলিশের হাত ধরে ভালো সাবলম্বি হয়ে উঠতে পারবে জেলেরা। এই বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি ব্যাবস্থা নেয় তাহলে জেলেদের সুদিন ফিরে আসবে। সোনাগাজী উপজেলা মৎস্য অফিসার তূর্য্য সাহা বলেন, জেলেদের কে বিভিন্ন সরকারি সহায়তার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনা দেয়া হয়। তবে দাদন-দাতাদা মহাজন ও আড়তদারদের সাথে জেলেরা নিজেরাই মিলেমিশে কাজ করে। এযাবত জেলেরা কোন আড়তদার কিংবা দাদন-দাতাদা মহাজনের বিরুদ্ধে কোন লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!