কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে সম্প্রতি ভেসে আসে দু'টি মৃত তিমি। তিমি দু'টির শরীর'র নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ করেছেন সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আশরাফুল হক। তিনি জানান, গভীর পর্যবেক্ষণে তাঁর মনে হয়েছে মৃত তিমি দু'টি ‘দম্পতি’ । পুরুষ সঙ্গীর মৃত্যুর শোকে স্ত্রী তিমিটি আত্মহত্যা করেছে।(৯ এপ্রিল) সকালে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি সৈকতে ভেসে আসে ১৫ টন ওজনের মৃত ১ম তিমি। এটি লম্বায় ছিল ৪৪ ফুট, পেটের বেড় ২৬ ফুট। বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। এটি স্ত্রী তিমি। এই তিমির শরীর পচে মাথার অংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। পরের দিন সকালে একই সৈকতে ভেসে আসে ১০ টন ওজনের আরেকটি মৃত তিমি। এটি লম্বায় ৪৬ ফুট, পেটের বেড় ১৮ ফুট, ওজন প্রায় ১০ টন। এটি পুরুষ জাতের তিমি। মৎস্য বিজ্ঞানী আশরাফুল হক বলেন, মৃত তিমি দু'টি ‘ব্রাইডস হুয়েল’ অথবা ‘বলিন’ প্রজাতির।সামুদ্রিক মৎস্য গবেষক, পরিবেশবাদী সংগঠন ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের ধারণা, অন্তত ১০ থেকে ১৫ দিন আগে গভীর সাগরে তিমি দু'টির মৃত্যু হয়েছিল। জোয়ারের পানিতে ভেসে সৈকতে পৌঁছতে এত দিন সময় লাগে। এ কারণে তিমির শরীরে পচন ধরেছিল।মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আশরাফুল হক জানান, সৈকতে আসা ১ম তিমিটি স্ত্রী এবং ২য় টি পুরুষ ছিল। পুরুষ তিমির শরীরে পচন ধরেছে বেশি, মারাত্মক ধরনের জখমের চিহ্নও ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ১০ থেকে ১৫ দিন আগে বড় কোনো জাহাজের ধাক্কায় পুরুষ তিমির মৃত্যু হয়।মৎস্য বিজ্ঞানীদের ধারণা, গভীর সমুদ্রে জোড় বেঁধে বিচরণের সময় বড় কোনো জাহাজের ধাক্কায় পুরুষ তিমিটি পেটে আঘাত পেয়ে মারা যায়। এ শোক সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় স্ত্রী তিমিটি। এ ধারণার সঙ্গে একমত পোষণ করে আশরাফুল হক জানান, ‘তিমির আত্মহত্যার ঘটনার অনেক নজির আছে। স্ত্রী তিমির শরীরে তেমন আঘাতের চিহ্ন নেই। শুধু লেজের আগে পেটের দিকে পচে বিকৃত হয়ে গিয়েছিল।’
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!