নিজস্ব প্রতিনিধি: ফেনীর কাস্টমস ও ভ্যাট কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অনিয়ম-দুর্নীতি ও ঈদ চাঁদা কালেকশন নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় নিউজ ছাপা হয়েছে। বুধবার পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ সম্পর্কে কাস্টম সুপার মোঃ কামরুজ্জামানের প্রতিক্রয়া জানতে তাকে ফোন দেওয়া হয়। তিনি ফোন রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় জেনেই কোন প্রশ্ন করার আগেই মঙ্গলবারের ঘটনার বিষয়ে বলতে থাকেন। টানা দশ মিনিট ধরে কামরুজ্জামান নিজের পক্ষে সাফাই গাইতে থাকেন। এসময় তিনি স্থানীয় সাংসদ, ফাজিলপুরের ইউপি চেয়ারম্যান ও কয়েকজন সরকার দলীয় নেতা তাঁর বন্ধু বলে জাহির করেন। ফেনী শহরে তার নানার বাড়ি বলে দমভোক্তি করেন। একজন সিনিয়র সাংবাদিক তার মামা হন বলে পরিচয় দেন। এই প্রতিনিধিকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে কামরুজ্জামান নিজেকে সরকারের একজন সাচ্চা সেবাদাস, নীতিবান কর্মকর্তা হিসেবে জাহির করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। কামরুজ্জামনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, আলম ব্রিকস’র ভ্যাট বকেয়া থাকলে নোটিশ করতেন, না দিলে আইনগত ব্যবস্থা নিতেন। তা না করে আপনি ব্রিক ফিল্ডের ট্রাক জিম্মী করে সরকারি টাকা আদায়ের কোন বিধান আছে কিনা ? এ প্রশ্নে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেননি। ফেনীর প্রতি ব্রিক ফিল্ড মালিক’র কাছ থেকে মৌসুমের শুরুতে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়া প্রসঙ্গে কানরুজ্জামান বলেন, এসব মিথ্যা কথা, আমি এসম্পর্কে কিছু জানিনা। তবে তিনি বলেন, কেউ আমাকে দাওয়াত করে কিছু দিয়ে খোটা দেওয়া উচিত নয়। এই উক্তির মাধ্যমে তিনি সাবধানে হোক কিংবা অসাবধানে হোক ঘুষ নেওয়ার কথাটি পরোক্ষভাবে স্বীকার করে নিলেন। কমিউনিটি সেন্টারের মালিকেরা তার অনৈতিক হস্তক্ষেপে ত্যক্ত-বিরক্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার সাথে সবাইর সুসম্পর্ক রয়েছে। কারো সাথে বিরোধ নাই। তার এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ফেনী জেলা কমিউনিটি সেন্টারের মালিক সমিতির সভাপতি, শামসুদ্দিন মজুমদার বলেন, কামরুজ্জামান টাকা ছাড়া কিছু বুঝে না। তার সাথে মূলত কারো সুসম্পর্ক আছে বলে আমার জানা নেই। উল্লেখ্য; ফেনীর কাস্টম কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান’র বাড়ি ফেনী সদর উপজেলার ১২ নং ফাজিলপুর ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামে। তার বাড়ি ফেনী হওয়ায় তিনি অনৈতিক কর্মকা-ের পাশাপাশি কথায় কথায় সরকার দলীয় নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে আত্মপ্রসাদ লাভ করেন। টাকাই তার কাছে চরম অরাধ্য। ফেনী কাস্টম অফিসের কর্মচারী মোঃ সুলতান তার অনৈতিক কর্মকা-ে সাড়া না দেওয়ায় তাকে মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে ফেনী থেকে বদলী করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফেনী তাকিয়া রোড়ের দু’জন ব্যবসায়ী জানান, আমরা নিয়মিত সরকারকে ভ্যাট প্রদান করে আসছি। কিন্তু কাস্টম কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান ফেনী আসার পর আমাদের ওপরে ইস্টিমরোলার চালাচ্ছে। করোনাকালীন সময়েও তিনি অনৈতিক সুবিধা নিতে মরিয়া। এসব কর্মকর্তা এ ধরণের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলে সরকার রাজস্ব হারাবে।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!