চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি: চৌদ্দগ্রামে হঠাৎ করে ডায়ারিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। এরমধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গড়ে প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। আর বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে শতের উর্ধ্বে। আক্রান্তদের অধিকাংশের বয়স ৪৫-৫৮ বছর। তবে শিশুদের সংখ্যাও কম নয়। ৫০ শয্যার এ হাসপাতালে কোন সিট খালি নেই।
চিকিৎসকদের অভিমত, দিনে প্রচন্ড গরম ও রাতের শেষ দিকে শীতের প্রকোপ এবং রমজানে ভাজাপোড়া খেয়ে অনেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স সেলিনা আক্তার বলেন, প্রতিদিন হাসপাতালে গড়ে ১০ থেকে ১২ জনের উর্ধ্বে রোগী ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছে। যাদের অধিকাংশই বয়স্ক। মাঝে মধ্যে হাসপাতালে বেড খালি থাকে না। মেঝেতেও অনেক সময় চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি। সরকারি পর্যাপ্ত ওষুধ হাসপাতাল থেকে রোগীদেরকে দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী পৌরসভা ফাল্গুন করা গ্রামের আবদুল জব্বার চৌধুরী বলেন, আমি রোববার ইফতারের পর থেকে হঠাৎ করে ডায়রিয়া আক্রান্ত হই। ইফতারের সময় কিছু ভাজাপোড়া খেয়েছিলাম, তারাবির নামাজের পর খাওয়া-দাওয়ার পর থেকে আমার ডায়রিয়া শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ডাক্তারের পরামর্শে আমি হাসপাতালে ভর্তি হই।
আজগর আলী অপর রোগী বলেন, আমি আজকে চারদিন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা ভালো পাচ্ছি। সকল প্রকার ওষুধ হাসপাতাল থেকে দেওয়া হচ্ছে। নিয়মিত ডাক্তার-নার্সরা খোঁজখবর নিচ্ছে।
নাসরিন বেগম নামের অপর রোগী বলেন, দিনে অসম্ভব রোদ পড়ে। রাতের শেষ দিকে ঠান্ডা লাগে। ইফতারের সময় ভাজাপোড়া খেতে হয়। এজন্যই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছি বলে ডাক্তাররা জানিয়েছে। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম কিবরিয়া টিপু বলেন, হাসপাতালে হঠাৎ করে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এদের অধিকাংশই বয়স্ক রোগী। তবে কিছু শিশুও রয়েছে। আমরা পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!