সোনাগাজী প্রতিনিধি: ফেনীর সোনাগাজীতে প্রেমিকের জন্মদিনে গিফট দিতে আসা এক যুবককে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের ছবি ভাইরাল হয়েছে। সোমবার বিকালে এ ঘটনায় পাল্টা পাল্টি মামলায় দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার দিবাগত রাতে সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের আশ্রাফ আলী কবিরাজ বাড়িতে এঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী, পুলিশ ও ভুক্তভোগিদের পরিবারের সদস্যরা জানায়, দীর্ঘ ৫ বছর আগে প্রাইভেট পড়ানোর মাধ্যমে আবদুল হাইর পরিবারের সাথে সম্পর্কে জড়ায় হামিদুর রহমান আজাদ। এরই মাঝে আবদুল হাইয়ের নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে আজাদের। রোববার রাত ৮টার দিকে ওই ছাত্রীর জন্মদিনের উপহার দিতে গিয়ে রাতে তাদের ঘরের একটি কক্ষে লুকিয়ে থাকেন আজাদ। রাত একটার দিকে আবদুল হাই ও তার পুত্র দীন মোহাম্মদ টের পেয়ে আজাদকে আটক করে বেধড়ক পিটিয়ে ঘরের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন চালায়। ছবি তুলে দীন মোহাম্মদের ফেইসবুক আইডিতে খুঁটিতে বাধা আজাদের ছবি পোস্ট করেন। ফেইসবুকে দেয়া পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন তাকিয়া বাজারে আশ্রাফ আলী কবিরাজ বাড়িতে ধরা খেয়েছে স্বর্ণ চোর, রাত তিনটায় দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকেছে, পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ। মুহূর্তের মধ্যে ফেসইবুকের পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ আজাদকে উদ্ধার করে। সোনাগাজী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।
ওই ছাত্রীর বাবা আবদুল হাই অভিযোগ করেন, দীর্ঘ দুই বছর যাবৎ আজাদ তার স্কুল পড়ুয়া কন্যাকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাবে উত্ত্যক্ত করে আসছে। বয়স কম হওয়ায় তিনি ও তার মেয়ে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আজাদ রোববার রাতে সুকৌশলে ঘরে ঢুকে তার কন্যাকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তিনি ও তার ছেলে মিলে আজাদকে আটক করে রশি দিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁধে রাখেন। তার ছেলের সাথে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তার ছেলের লাঠির আঘাতে আজাদের মাথা ফেটে যায়। তিনি আজাদকে এক মাত্র আসামি করে তার স্কুল পড়ুয়া কন্যাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।
অপর দিকে আজাদের পিতা বেলাল হোসেন অভিযোগ করেন, আবদুল হাইয়ের কন্যাকে প্রাইভেট পড়ানোর সূত্র ধরে তার ছেলের সাথে ওই স্কুল ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২৯ আগস্ট রোববার মেয়েটির জন্মদিন ছিল। মেয়েটি বিষয়টি তার ছেলেকে জানালে সে দুই প্যাকেট লজেন্স ও একটি কলম উপহার নিয়ে তাঁর বাড়িতে যায়। রাতে সেখানে খাওয়া ধাওয়াও করে। কিন্তু গভীর রাতে তাঁর ছেলেকে নির্মম ভাবে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে আহত করে ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। তাই আমি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দীন মোহাম্মদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।
স্থানীয়রা জানান, হামিদুর রহমান আজাদ শিবিরের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন। সে বগাদানা ইউনিয়নের চরবদরপুর গ্রামের সিরাজ নেতার বাড়ির বেলাল হোসেনের ছেলে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে হামিদুর রহমান আজাদ ও খুঁটির সাথে বেঁধে ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগে দীন মোহাম্মদকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!