মোঃ কামরুল হাসান: শখের বসে ২০১৮ সালে ১০ লক্ষ টাকায় ৬টি বিদেশি দুগ্ধ জাতের গরু কিনেছিলেন। সেই থেকে শুরু করে বর্তমানে ১১৬টি গরু পালনের মধ্যদিয়ে ৪ বছরে ঘুরে গেছে ছাগলনাইয়া উপজেলার শাহাদাত হোসেন'র ভাগ্যের চাকা। এখন তিনি জননী এগ্রো ফার্ম নামে গড়ে তুলেছেন বৃহৎ দুগ্ধজাত গরুর খামার, সফলতার হাতছানিতে স্বল্প সময়ে বনে গেছেন কোটিপতি। তার এই গরুর খামারে যেমন কর্মসংস্থান হয়েছে স্থানীয় বেকার যুবকদের, তেমনি শত শত যুবককে দেখাচ্ছে আগামীকে জয় করার স্বপ্ন। করোনার কারনে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার লোকসান গুনতে হচ্ছে তাকে। গরুর খামার ঘুরে দেখা যায়, ছাগলনাইয়া উপজেলার নিজপানুয়া গ্রামের আবু তাহের মাস্টারের ছেলে মোঃ শাহাদাত হোসেন উত্তর আঁধার মানিক এলাকায় খামারে গরু পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দৈনিক স্টার লাইন'র এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে ১০ লক্ষ টাকা খরচ করে ৬টি বিদেশি গাভী পালন শুরু করেন। সফলতার মুখ দেখে উপজেলার রাধানগর ইউপির পূর্ব মধুগ্রামে বড় পরিসরে বিদেশি বিভিন্ন জাতের গরু ক্রয় করেন। বর্তমানে তাঁর দুই খামারে ২কোটি টাকা পূঁজিতে দুগ্ধ জাতের গরু আছে ১১৬ টি। এগুলো দেখাশোনা করার জন্য তার খামারে ১১ জন লোক রয়েছে। এই খামার থেকে প্রতিদিন ৩৫০ থেকে ৪০০ লিটার দুধ বিক্রি করেন। এবছর কুরবানির জন্য ২৫ টি গরু বিক্রি করেন। পাশাপাশি একই স্থানে ১৯৯৬ সালে ৮'শ মুরগী নিয়ে পোল্ট্রি ফার্ম শুরু করেন। বর্তমানে তাঁর দুই জায়গায় পোল্ট্রি ফার্মে লক্ষাধিক মুরগী রয়েছে। এরমধ্যে সোনালী ভিটা মুরগী আছে ১৪ হাজার। এগুলো ৬ মাস বয়স থেকেই ডিম পাড়া শুরু করে। বর্তমানে তাঁর ফার্মে ডিম পাড়া শুরু হয়েছে। এখান থেকে প্রতিদিন ৪ হাজার ডিম উত্তোলন করেন। এগুলো থেকে প্রতিমাসে ইনকিউবেটর মেশিনের মাধ্যমে ১ লক্ষ ২০ হাজার বাচ্ছা উৎপাদন করেন। প্রতিটা বাচ্ছা উৎপাদন করতে তাঁর খরচ হয় ১৭ থেকে ১৮ টাকা করে। কিন্তু করোনার কারনে বিক্রি করতে হচ্ছে ১১ টাকা থেকে ১২ টাকা ধরে। শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, প্রতিটা সোনালী কক মুরগী উৎপাদন করতে খরচ হয় ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। কিন্তু করোনার কারনে মুরগির উৎপাদন খরচের সাথে বাজারের দাম এক না হওয়ায় চাহিদা কম থাকায় পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে। যার কারনে আমাদেরকে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এছাড়াও করোনায় একশ্রেণীর অসাধু সিন্ডিকেট ব্যাবসায়ীর কারনে মুরগী ও গরুর খাদ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। করোনার কারনে দুই জায়গার খামার থেকে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার লোকসান গুনতে হচ্ছে তাঁর। তিনি আরো বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে ৮'শ মুরগী দিয়ে ফার্ম চালু করি। বর্তমানে কয়েকটি শেডে লক্ষাধিক মুরগী রয়েছে। ২০১৮ সালের শেষের দিকে গরুর খামার করার শুরু থেকে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অনেক সহযোগিতা এবং উৎসাহ পেয়েছি। বর্তমান সরকার খামারীদের জন্য যে প্রণোদনা দিয়েছেন সেখানেও আমি ২০ হাজার টাকা প্রণোদনা পেয়েছি। আমার এই খামার প্রতিদিন সাড়ে ৩'শ থেকে ৪'শ লিটার দুধ উৎপাদন করা হলেও লকডাউনের কারণে এই কয়দিনে অনেক দুধ ফেলে দিতে হয়েছে। বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি খামারিদের অনুরোধ, সরকারিভাবে আমাদের এই অঞ্চলে মিল্ক প্রসেসিং এর জন্য একটা বড় কোম্পানির ফ্যাক্টরি করলে খামারিরা অনেক উপকৃত হবে।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!