সদর প্রতিনিধি: ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের কালিদহ গ্রামের সৌদি প্রবাসী শহিদুল ইসলামের কন্যা ১১ বছর বয়সী তানিশা ইসলামকে গলা কেটে হত্যা করেছে তাঁরই আপন জেঠাতো ভাই নিশান। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক রাত ৯ টা ৪০ মিনিটের সময় এ নৃশংসতম হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে। হত্যার অভিযোগে পুলিশ ঘাতক নিশানকে ওই দিন রাতেই গ্রেফতার করে। পুলিশের প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে নিশান হত্যার দায় স্বীকার করেছে। শুক্রবার ঘাতক নিশানকে আদালতের মাধ্যমে ফেনী মডেল থানা পুলিশ জেল হাজতে প্রেরণ করে। জানা যায়, নিহত তানিশা ইসলাম ফেনী শহরের মহিউচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। ঘটনার আগের দিন বুধবার তাঁর ১১ বছর পূর্ণ হয়। ১১ তম জন্মদিনে উপস্থিত ছিলেন না একমাত্র বোন ও একমাত্র ভাই। বোন ছিলেন স্বামীর বাড়িতে, ভাই ছিলেন ইতেকাফে ফলে তানিশা প্রচন্ড মন খারাপ করে। তানিশার বড় বোন শ^শুর বাড়ি থেকে ছুটে এসে তার মন ভাঙানোর চেষ্টা করে। ঘটনার সময় তানিশার মা ও বোন পাশের বাড়িতে ছিলেন। এসময় তার বৃদ্ধ দাদি নামাজরত অবস্থায় ছিলেন। এই সুযোগে ঘাতক নিশান কৌশলে কিশোরী তানিশাকে তাদের ঘরের ছাদে ডেকে নিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে ঘাতক নিশান ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কিশোরী তানিশাকে গলা কেটে হত্যা করে। গলা কাটার আগে ঘাতক নিশান তানিশাকে শ^াসরোধ করে ও বালতির পানিতে চুবিয়ে হত্যা চেষ্টা করে। এলাকাবাসী জানায়, ঘাতক নিশান’র পিতা সাহাব উদ্দিন পাকিস্তানে মারা যায়। তখন নিশানের মা ৩ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। বর্তমানে নিশানের বয়স ১৭। সে একটি মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। তানিশার লাশের পাশে নিশানে জুতা পাওয়ায় সন্দেহ ঘণিভূত হয়। ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুনবী বিপিএম, পিপিএম’র নেতৃত্বে চৌকস গোয়ান্দা দল বিচক্ষণতার সাথে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে নিশানই হত্যাকারী এ ব্যাপারে নিশ্চত হয়ে তাকে আটক করে। ফেনী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি এ এন এম নূরুজ্জামান জানান, তানিশাকে গলা কেটে হত্যার আগে তাকে রশিতে ফাঁশ দিতে চেষ্টা করেছিল খুনি। তার আগে তাকে বালতির পানিতেও চোবানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে রশি, বালতি, জুতোসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।তানিশার মা তাসলিমা আক্তার জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি তার বড় মেয়েকে নিয়ে পাশের বাড়ি বেড়াতে যান। সে সময় তানিশা ও তার বৃদ্ধ দাদি ঘরে ছিলেন। রাত ১০ টার দিকে বাড়ি ফিরে তানিশাকে ঘরে দেখতে পাইনি। বাড়ির ছাদে গিয়ে চিলেকোঠায় তার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।ফেনী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওমর হায়দার জানান, ওই রাতেই জিঙ্গাসাবাদের জন্য তানিশার জেঠাতো ভাই ১৬ বছর বয়সী নিশানকে আটক করা হয়েছে।খুনের কারণ সম্পর্কে পুলিশ বা পরিবার কিছু বলতে পারেনি। ফেনীর পুলিশ সুপার বলেন, থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ, পিবিআই ও সিআইডির একাধিক তদন্ত দল কাজ শুরু করেছে। তবে হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ বা অন্য কোনো কিছু করা হয়েছে কিনা তা ময়নাতদন্তে জানা যাবে।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!