রামগড় প্রতিনিধি: রামগড় পৌর শহরের উপকন্ঠে টিএন্ডটি অফিস-মাস্টারপাড়া রাস্তার মাঝখানে বৈদ্যুতিক পিলার রেখেই কার্পেটিংয়ের কাজ করেছে পৌরসভা। বিদ্যুতের এলটি লাইনের এ পিলারটি সরানোর ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিভাগ ও পৌরসভা একে অপরকে দুষছে। নগর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে রামগড় পৌরসভা সম্প্রতি রাস্তাটির কার্পেটিংয়ের কাজ করে। এদিকে বৈদ্যুতিক পিলার অপসারণ না করে রাস্তার কাজ করায় কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এনিয়ে জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, নগর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে রামগড় পৌরসভা টিএন্ডটি অফিস-মাস্টার পাড়া রাস্তাটি কার্পেটিংয়ের কাজের ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়। প্রায় ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করে সংশ্লিষ্ট ঠিকদার। রাস্তার মাঝখানে পূর্বে থেকে থাকা একটি বৈদ্যুতিক পিলার অপসারণ না করেই কার্পেটিংয়ের কাজ করা হয়। এতে পথচারিরা যাতায়ত করতে পারলেও ছোট বড় কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে সরকারের বিপুল অর্থ ব্যয় করে নির্মিত এ রাস্তাটি পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারছে না এলাকা বাসি। এদিকে রামগড় পৌরসভার উপকন্ঠে এবং বিদ্যুৎ অফিস হতে মাত্র প্রায় ২’শ গজ দূরত্বে রাস্তাটির মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করায় জনমনে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ ও পৌরসভার সমন্বয়হীনতার কারণকেই দায়ি করছেন সচেতন মহল। অন্যদিকে, রাস্তা থেকে খুঁটি সরানো নিয়ে একে অপরকে দায়ি করে নিজের দায় এড়াচ্ছে পৌরসভা ও বিদ্যুৎ বিভাগ।রামগড় পিডিপির আবাসিক প্রকৌশলী আহসান উল্লাহ বলেন, বিদ্যুতের লাইনটি অনেক পুরানো। রাস্তা নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। দরকার ছিল বিদ্যুতের খুঁটি সরিয়ে রাস্তা তৈরি করা। কিন্তু খুটি সরানোর জন্য পৌরসভা কিংবা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে কোন ধরনের চিঠিপত্র দেয়া হয়নি পিডিবিকে। তারা নিজেদের ইচ্ছামত রাস্তার কাজ করে গেছে।এ ব্যাপারে রামগড় পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী সমর কান্তি মজুমদার বলেন, আমরা চিঠি এবং মৌখিক ভাবে জানিয়েছি, কোন কথা কর্নপাত করেন নি।রামগড় পৌরসভার মেয়র শাহজাহান কাজি (রিপন) বলেন, প্রকল্পের কাজ শুরু করার পূর্বেই ২০২০ সালের যার স্বাক্ষর রা-পৌর-খাগড়া-২০২০-২৯-১৮২-২০ খুঁটিটি সরানোর জন্য রামগড় বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলীকে চিঠি দেয়া হয় এবং চিঠিতে সাবেক প্রকৌশলী সাক্ষর আছে। স্থানীয় কাউন্সিলর আহছান উল্লাহ এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এটি সরানোর জন্য পিডিপির প্রকৌশলীকে মৌখিকভাবে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু পিডিবি কোন কর্ণপাতই করেনি। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে বিধায় বাধ্য হয়েই পিলারটি রেখে রাস্তার কাজ শেষ করা হয়েছে।স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি খাগড়াছড়ি রামগড় ফেনী সড়কের সাথে যুক্ত করা হয়েছে। রাস্তা মাঝখানে খুটিটি থাকায় অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের গাড়িসহ ছোট বড় কোন যানবাহনই চলাচল করা সম্ভব নয়। এ অবস্থায় সরকারের বিপুল টাকায় নির্মিত রাস্তা জনকল্যাণে ব্যবহার উপযোগি করতে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য এলাকাবাসি জোর দাবি জানিয়েছেন।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!