মোঃ কামরুল হাসান: ফেনী-২ আসনের সাংসদ ও জেলা আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী'র অর্থায়নে ছাগলনাইয়ায় ঘর পাচ্ছেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী তিন সহোদর।
সোমবার বিকালে উপজেলার শুভপুর ইউপির উত্তর মন্দিয়া এলাকায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের ঘর নির্মাণের কাজ পরিদর্শনের সময় দৈনিক স্টার লাইন পত্রিকার এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে সকিনা বেগম বলেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর প্রতিবন্ধী ছেলেদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করি। একটি ঘরের জন্য অনেকের দারস্থ হয়েও কোন কূল পাইনি। সাংবাদিক নিজাম ভাই ও অন্যান্য সাংবাদিকরা আমাদের মানবেতর জীবনযাপন নিয়ে নিউজ করার পর নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল ভাই আমাদের দিকে ফিরে তাকান। পরে সোহেল চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সাংসদ নিজাম হাজারীর বাসায় ডেকে আমদেরকে একটি ঘর নির্মান করার আশ্বাস দেন।
ছয় রুমের একটি পাওয়ায় আমি ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী এবং ছাগলনাইয়ার সাড়ে তিন লক্ষ মানুষের অভিভাবক উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল মহোদয়ের নিকট চিরকৃতজ্ঞ এবং তাদের পরিবারের নেক হায়াত কামনায় মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি। উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল বলেন, ছাগলনাইয়ার অসহায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের প্রানপ্রিয় নেতা ফেনীর ১৬ লক্ষ মানুষের অভিভাবক ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী মহোদয় যে মহানুভবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা পৃথিবীর ইতিহাসে সত্যিই বিরল। আমি ছাগলনাইয়াবাসীর পক্ষ থেকে নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি মহোদয়ের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সম্প্রতি, সাপ্তাহিক আজকের প্রতিক্রিয়া সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তাদের মানবেতর জীবনযাপন নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী ও ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল'র দৃষ্টিগোচর হলে সাংসদ নিজাম হাজারীর অর্থায়নে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের একটি ঘর নির্মান করে দিচ্ছেন তিনি।
উল্লেখ্য, উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের উত্তর মন্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত মোঃ মোস্তাফার তিন ছেলে সাইফুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম ও মোমিনুল ইসলাম। জন্মের পর থেকে দেখার সৌভাগ্য মেলেনি পৃথিবীর আলো। অন্ধত্বকে সঙ্গী করে জন্ম নেয় এই তিন সহোদর। প্রায় দুই যুগ আগে বাবা মোঃ মোস্তফার মৃত্যু হলে মা সকিনা বেগমের মাতৃ ছায়ায় বেড়ে উঠেন তারা। তিন ভাই জন্মান্ধ হলেও সমাজে বাঁচতে চায় অন্য দশজনের মতো। একদিকে পারিবারিক অসচ্ছলতা অন্যদিকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীতায় কর্মের অক্ষমতার কাছে হার মানতে হয় তাদের, এতোকিছুর পরও তিন সহোদর স্বপ্ন দেখেন আলোহীন চোখে স্বাবলম্বী হওয়ার। পুঁজি না থাকায় সেই স্বপ্নটাও ছিলো তাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। বৃদ্ধ মা সকিনা বেগমের হাতে তৈরি গৃহস্থালি আসবাবপত্র বিক্রি করে কোনোভাবে খোরাক জুড়ত এই পরিবারের। এক পর্যায়ে বয়সের চাপে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগে তাও আর সম্ভব হয়ে উঠেছে না।
এমতাবস্থায় তিন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সন্তান আর পরিবার নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন বৃদ্ধ সকিনা বেগম।বিষয়টি নজরে আসে আজকের প্রতিক্রিয়া পত্রিকার সম্পাদক এবিএম নিজাম উদ্দিন সহ স্থানীয় সংবাদকর্মীদের। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি তুলে ধরেন তারা।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!