দাগনভূঞা প্রতিনিধি: দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের পাশে বয়ে যাওয়া ছোট ফেনী নদীর দু’কূলের প্রায় ২০ টি গ্রামের ৩০ হাজার মানুষের বসবাস। জীবন ও জীবিকার তাগিদে প্রতিনিয়ত এসব মানুষকে নদী পারাপার হতে হয়। নদী পারাপারের সময় বিভিন্ন সময় এসব মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিশেষ করে ইউনিয়নের পুর্বঘোনা গ্রামের জনসাধারনকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গ্রামটির তিন দিক থেকে ঘিরে রেখেছে ছোট ফেনী নদী। এই গ্রামের স্কুল-মাদ্রাসা ও কলেজগামীসহ হাজারও মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন দড়ি টানা নৌকা দিয়ে পার হয়ে ফেনী সদর এলাকায় যাতায়াত করে আসছে। নদী পার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত মানুষকে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।রাজাপুর বাজার হয়ে বিকল্প সড়ক দিয়ে প্রায় ৪ কিলোমিটার ঘুরে গন্তব্যে যেতে হয়। এটি গ্রামবাসীর জন্য চরম কষ্টকর ও ভোগান্তির। কিন্তু নদীতে সেতু না থাকায় নৌকাই তাদের একমাত্র ভরসা। সেতুর অভাবে এলাকার লোকজন উন্নয়নের ছোয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছে। নদী পার হতে আসা ৫৫ বছর বয়সী আমেনা বেগমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ওপার থেকে কখন নৌকা আসবে সেই আশায় আধ ঘণ্টা যাবত অপেক্ষায় আছি। অসুখ-বিসুখ হলে সেতুর অভাবে তাড়াতাড়ি হাসপাতালেও পৌঁছতেও পারি না। বিরলী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার জানান, বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছি প্রায় এক ঘন্টা হচ্ছে। এদিকে স্কুলের সময় চলে যাচ্ছে কিন্তু নদী পার হতে পাচ্ছিনা। একটি সেতু হলে আমাদের জীবনযাত্রার মান অনেক বদলে যেতো। স্থানীয়রা জানান, নির্বাচনের আগে অনেকেই সেতুর তৈরি করে দেওয়ার আশ^াস দেয়। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পরে আর কেউ খোঁজ রাখে না। ফসল আবাদ করে পারাপারের অভাবে সঠিক সময়ে শহরের হাট-বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে পারি না। অসুস্থ হলে দ্রুত সময়ে হাসপাতালেও নেওয়া যায় না। এরুপ পরিস্থিতিতে রাতের বেলায় জরুরী প্রয়োজনে পড়তে হয় বিপাকে। এ বিষয়ে ফেনী-৩ (দাগনভূঞা-সোনাগাজী) আসনের সাংসদ লে: জেনারেল (অব:) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, আমি সব সময় এলাকার মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ^াস দেন।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!