বিশেষ প্রতিনিধি: ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের সদ্য বিবাহিত প্রবাসী কফিল উদ্দিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকালে ওই গ্রামের ভূঞা বাড়ির শ্বশুরালয় থেকে কফিলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে নিহত কফিলের বাবা সামছুল হক বাদী হয়ে পুত্রবধূ ও শ্বশুর-শ্বাশুড়ির নামে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেছেন। এজহার দাখিলের পর পুলিশ শ্বশুর আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। এঘটনায় এলাকায় ব্যাপক মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
কফিলের শ্বশুর আবুল হাসেমের দাবী এটি আত্মহত্যা। অন্যদিকে নিহতের পিতা সামছুল হক ফরায়েজী ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবী করে আসছেন। পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৪ দিন আগে দুই মাসের ছুটিতে কঙ্গো থেকে বাড়িতে আসেন কফিল উদ্দিন। ১ এপ্রিল ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া গ্রামের আবুল হাসেম ভূঞার মেয়ে সাবরিনা আক্তার সুবর্ণার সঙ্গে আকদ হয়। বিয়ের পর থেকে স্ত্রী তাঁর বাবার বাড়িতেই থাকতেন। রোজার ঈদের পর স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের বাড়িতে উঠিয়ে নেওয়ার কথা ছিল কফিলের। গত শুক্রবার বিকেলে কপিল তাঁর শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান।
রোববার সকালে বাবাকে ফোন করে কফিল জানান, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র দিতে বলেন। তিনি (কপিল) স্ত্রীকে বাড়িতে উঠিয়ে নেওয়ার সময় সব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। নিয়মিত শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্র দিতে চাপ দেন। এই চাপ দেওয়ার বিষয়টি কফিল বেলা ১১টার দিকে তাঁর বাবাকে ফোন করে জানান। পরে বেলা দুইটার দিকে শ্বশুরবাড়ির একটি কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে কপিলকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। খবর পেয়ে কপিলের বাবা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, ঘরের মেঝেতে ছেলের লাশ শোয়ানো অবস্থায় রাখা আছে।
খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। স্ত্রী সাবরিনা আক্তার সুবর্ণা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘুম থেকে উঠে কফিল তার সাথে কথা বলে। ১১টার দিকে তার শ্বশুরের সাথে মোবাইল ফোনে কফিলের শেষ কথা হয়। এরপরই কক্ষের অনেকক্ষণ পর্যন্ত তালাবদ্ধ থাকায় আশপাশের লোকজন এনে ধাক্কা ধাক্কি করে দরজা খুলে কফিলের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার উপ পরিদর্শক মো. জালাল উদ্দিন-২ জানান, খবর পেয়ে লাশের সুরত হাল রিপোর্ট তৈরী করে লাশ মর্গে পাঠানো হয়। এঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট ও তদন্তে বেরিয়ে আসবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, মোটবীতে প্রবাসীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আবুল হোসেন নামের এজহার নামীয় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!