সোনাগাজী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ছোটধলী এলাকা থেকে ছিনতাইকারী সন্দেহে স্থানীয় জনগণের হাতে আটক সোনাগাজী মডেল থানার তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।ক্লোজড হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলো, আদর্শগ্রাম তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোঃ জহিরুল হক, কনস্টেবল কাওছার হোসেন ও আনোয়ার হোসেন।
উক্ত ঘটনার পর অভিযুত্তদের ক্লোজড পূর্বক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) এর নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে বলে গণমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করেছেন ফেনীর পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন। উক্ত তদন্ত কমিটি কে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করতে বলা হয়েছে। ছোটধলি গ্রামের চৌরাস্তা এলাকার ব্যবসায়ী শেখ ফরিদ জানান, রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে তিন পুলিশ সদস্য সিএনজিযোগে এসে আমার গতিরোধ করে। এ সময় তারা তল্লাশি করার নামে আমার পকেটে থাকা টাকার বান্ডেল ছিনিয়ে নেয়। টাকা ফেরত চাইলে ইয়াবা ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে সিএনজিতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। তখন আমি চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করে।
ঘটনার পরপর স্থানীয় মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ঘটনাস্থলে পৌঁছে থানায় ফোন করে ঘটনা অবগত করেন চেয়ারম্যান দৈনিক স্টার লাইন প্রতিনিধি কে জানান, ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড ছোটধলি গ্রামে রাতে তিন পুলিশ সদস্যকে আটকের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পুলিশের সদস্যরা ব্যবসায়ীর কাছে থেকে যে টাকা ছিনিয়ে নেয় তা উদ্ধার করে ব্যবসায়ীকে ফেরত দিয়েছি। ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সোনাগাজী মডেল থানার ওসি ও পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি।
সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায়, চর ইঞ্জুমান গ্রাম সোনাগাজীর চরদরবেশ ইউনিয়নের অন্তর্গত হলেও ছোট ফেনী নদীর কারণে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের উপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। রোববার রাতের ঘটনাটি সোনাগাজী ও কোম্পানীগঞ্জের সীমানা এলাকায় ঘটে।সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাজেদুল ইসলাম পলাশ ছিনতাইয়ের ঘটনা অস্বীকার করে জানান, সেখানে ছিনতাইয়ের কোন ঘটনা ঘটেনি। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর প্রত্যক্ষদর্শীরা কেউ টাকা ছিনতাইয়ের বিষয়ে কিছু বলেনি।
পুলিশ সদস্যরা চরদরবেশ ইউনিয়নের চর ইঞ্জুমান গ্রামে টহলে যাওয়ার সময় ছোটধলি গ্রামের দোকানের সামনে শেখ ফরিদকে একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তল্লাশি করেন। এ সময় সে ভয়ে চিৎকার দিলে স্থানীয় এলাকাবাসী পুলিশ সদস্যদের ঘেরাও করে রাখে। পরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে আলোচনার পর ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়। সহকারী পুলিশ সুপার (সোনাগাজী সার্কেল) মাশকুর রহমান জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এই বিষয়ে তদন্ত কমিটির রিপোর্টের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!