বিশেষ প্রতিনিধি: ফেনী কাস্টমস ও ভ্যাট অফিসের কর্মকর্তাদের ঈদ চাঁদা আদায় নিয়ে ইট ভাটা মালিকদের সাথে সদর সার্কেল কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামানের বাকবিতন্ডা ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ফেনী কাস্টমস ও ভ্যাট অফিসে এঘটনা ঘটে। জানা যায়, ফেনী ভ্যাট অফিসের সদর সার্কেল রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামানের নামে দীর্ঘদিন বিভিন্ন ইট ভাটা ও কমিউনিটি সেন্টার থেকে হাজার হাজার টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার লেমুয়ার আলম ইট ভাটার মালিকের অনৈতিক টাকা দাবি করলে মালিক তা দিতে অস্বীকার করে। এই নিয়ে সদর সার্কেল মোঃ কামরুজ্জামানের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। ঘটনার এক পর্যায় কামরুজ্জামান আলম ইট ভাটার একটি গাড়ি জোর করে সদর অফিসে নিয়ে আসে। ফেনী পৌরসভার ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমির হোসেন বাহার’র মধ্যস্থতায় ভাটা মালিককে তার গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য যে; মোঃ কামরুজ্জামানের বাড়ী ফেনীর ফাজিলপুর ইউনিয়নে। তিনি কাউকে পাত্তা দিতে চাননা। কথায় কথায় এমপি ও মন্ত্রীর ধমক দেখায়। অফিসের স্টাফদের সাথেও দূর্ব্যবহার করে। এছাড়াও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়ের লক্ষ্যে প্রতিদিন নিত্য নতুন প্যাঁচ কষতে থাকে। আইনের ভয়ভীতি দেখিয়ে অনৈতিক সুবিধা আদায় করার অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে ব্যবসায়ীরা বিরক্ত হলেও ভয়ে মুখ খুলতে চাননা। ভূক্তভোগী ব্যবসায়ীদের দাবী এই অসাধু কর্মকর্তাকে ফেনী থেকে বদলি করা হোক। পাশাপাশি তার দূর্নীতির তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে একাধিক ইট ভাটার মালিক জানায়, সম্প্রতি প্রতি ইট ভাটার মালিকদের থেকে ৪০ হাজার টাকা করে আদায় করেছেন মোঃ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে কাস্টমস অফিসের অসাধু কর্মকর্তারা। বিভিন্ন আইনগত জটিলতার ভয় দেখিয়ে ইট ভাটার মালিকদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করা হয়। বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার থেকেও অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করার অভিযোগ রয়েছে। করোনার মহামারীর মধ্যেও কাস্টম কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান আবারও ঈদ সেলামি দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইট ভাটা মালিকরা।করোনাকালীন সময়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া শহরের বেকারী মালিকদের কাছেও কাস্টম কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান চাঁদা দাবী করে আসছে। চাঁদা দিতে ব্যর্থ হলে আইনগত জটিলতার ভয় দেখিয়ে হুমকি প্রদান করে। ফেনী কমিউনিটি সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি শামসু উদ্দিন বলেন, কাস্টম কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান’র বাবা ভাল, খানদান ভাল কিন্তু সে অধপতনের শেষ সীমায় পৌঁছে গেছে। কমিউনিটি সেন্টার মালিকগণ তাঁর বিরক্তিকর ও অনৈতিক সুবিধা গ্রহণে অতিষ্ট। আমরা এই অসাধু কর্মকর্তার হাত থেকে মুক্তি চাই। কাস্টম কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান’র এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কোন সদোত্তর না দিয়ে এড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তারপরও তাকে একই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!