মো: কামরুল হাসান: অসীম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর ফুলগাজীর এবিএম মুসা সেতুটি। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা হাজারো সৌন্দর্য্য পিপাসু মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয় সেতু প্রাঙ্গন। ‘হাজীর ভাগনা’ নামে খ্যাত এবিএম মুসা সেতুটি প্রায় ৪ শত বছরের পুরনো। বিশেষ করে ছুটির দিন গুলোতে থাকে মানুষের উপচে পড়া ভীড়। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মনোরম পরিবেশ বেষ্ঠিত স্থানটির সুখ্যাতি ভাইরাল হয়েছে। ফুলগাজী উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ ধর্মপুর গ্রামে প্রায় ৬০০ ফুট দীর্ঘ একটি খালের উপর নির্মিত হয়েছে অসাধারণ এই সেতুটি।
এতে রয়েছে নৌকাভ্রমণেরও সুযোগ। মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিয়ে মনটা প্রশান্তিতে ভরপুর করার জন্যই মানুষ প্রতিনিয়ত এখানে ছুটে আসেন। সেতুর উপর থেকে যে দিকে চোখ যাবে চারপাশে শুধু সবুজের সমারোহ।জানা যায়, আশির দশকে লে. কর্ণেল (অব.) জাফর ইমাম বীর বিক্রম যোগাযোগমন্ত্রী থাকাকালে স্টীল ও কাঠ দিয়ে ব্রীজটি নির্মাণ করেন। উপজেলার বৃহত্তম এই সেতুটি নির্মিত হওয়ার পর ইতোমধ্যে সেখানে পর্যটন প্রেমীদের আনাগোনা শুরু হয়ে গেছে। পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এটি বেশ সুন্দর নিরিবিলি স্থানও বটে। এই ভাগনা দিয়ে দীর্ঘদিন পানি প্রবাহিত হওয়ার ফলে ফসলী জমির উপর খালের সৃষ্টি হয়। পরে এই খালটিকে উপজেলার শ্রীচন্দ্রপুর অংশের মুহুরী নদীর সাথে মিলিত করা হয়। স্থানীয়দের কাছে এই সেতুটি ‘হাজীর ভাগনা’ হিসেবে বেশ পরিচিত।
ফুলগাজী উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক বিনোদ বিহারী বিশ্বাস ভানু জানান, ফুলগাজী উপজেলার আমজাদ হাট ইউপির দক্ষিণ ধর্মপুরে, আমজাদহাট, ইসলামিয়া বাজার, ঘাটঘর ও বশিকপুর সড়কের ঐতিহাসিক হাজীর ভাগনার ১৪০.২০ মিটার দৈর্ঘ্য এই সেতুটি পুর্ণাঙ্গ রূপ নিয়েছে। পরে সাংবাদিক এবিএম মুসার দাবির প্রেক্ষিতে বর্তমান সাংসদ শিরীন আখতার এই ব্রিজ নির্মাণে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়ে ২০১৭ সালের ১৫ মে বিকালে ৭ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। তিনি আরো বলেন, ভৌগলিক দিক থেকে ব্রিজটি অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে। আমজাদহাট ইউনিয়নের সাথে ফুলগাজীর মুন্সীরহাট ইউনিয়ন, দরবারপুর ইউনিয়ন, জিএমহাট ইউনিয়ন, ফুলগাজী উপজেলা ও জেলা শহর ফেনীর সাথে যোগাযোগের সবচেয়ে সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হল আমজাদহাট-ইসলামীয়া বাজার, ঘাটঘর এবং মুন্সীরহাট। মুহুরী নদীর পূর্বাঞ্চল আমজাদ হাট ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এই পথে চলাচল করে। এছাড়া ব্রিজটির পূর্বাঞ্চলে রয়েছে আলহাজ্ব ডিগ্রী কলেজ, ধর্মপুর এডুকেশনাল স্টেট ও দেবপুর ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসা এবং পশ্চিমে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী ঘাটঘর মাদ্রাসা। স্থানীয়দের দাবি সরকার উদ্যোগ নিলে এটি হতে পারবে ফেনী জেলার মধ্যে অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। যার ফলে ফেনী জেলাসহ আশপাশের জেলা গুলোর ভ্রমণ পিপাসু মানুষগুলোর মনের খোরাক হতে পারে এই জায়গাটি।
পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এখানে যদি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে তাহলে স্থানীয় বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান হবে। আমজাদহাট ইউপি চেয়ারম্যান মীর হোসেন মীরু বলেন, এই স্পটটি আমাদের ভাবনায় আছে যেন এটিকে পুরো ফেনী জেলার মধ্যে অন্যতম পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা যায় তার জন্য আমরা কাজ করছি। সরকারের পক্ষ থেকে কোন বরাদ্দ পেলে আমরা এটিকে আরো উন্নয়ন করতে পারবো। ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম বলেন, এই জায়গাটিতে আমি গিয়েছি অসম্ভব সুন্দর একটা জায়গা। যেভাবে এটিকে আরো পর্যটন বান্ধব করা যায় তার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!