বিশেষ প্রতিনিধি: ফেনীর পরশুরাম উপজেলার উত্তরে বিলোনীয়া সীমান্ত। এখানেই ভারত-বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বিলোনীয়া স্থল বন্দর অবস্থিত। বিলোনীয়া স্থল বন্দরকে কেন্দ্র করে দু’দেশের মানুষের মধ্যে সীমান্ত যোগাযোগ অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। যা স্থল বন্দর প্রতিষ্ঠার আগে কখনোই দেখা যায়নি। ইমিগ্রেশন তথ্যে মুহুরী ঘাট নামে পরিচিত এই বিলোনীয়া স্থল বন্দর।
১৯৭১ সালে ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি অনুযায়ী ২৫ বছরের জন্য দু’দেশের সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থল বন্দরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মুহুরী নদীকে দু’দেশের নোম্যন্স ল্যান্ড ধরা হয়। কালের বিবর্তনে মুহুরী নদী আগের জায়গা থেকে প্রায় ৫৭ একর উত্তর সরে যাওয়ায় ওই অংশটি মজুমদার হাট সীমান্ত বিজিবি ফাঁড়ি ও নিজকালিকাপুর সীমান্তে বিজিবি ফাঁড়ির মাঝখানে অবস্থিত। যার অবস্থান বিলোনীয়া স্থলবন্দর থেকে ১. ২৫ কিলোমিটার পশ্চিম উত্তরে।
স্থানীয়রা জানায়, গত ৩০ বছরের ও বেশী সময় ধরে ওই ৫৭ একর জায়গা বিরোধপূর্ণ মুহুরীর চর হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে। দু’বার ওই জায়গা নিয়ে বাংলাদেশে ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ও ঘটেছে। তবে ওইসব সংঘর্ষে কেউ হতাহত হয়নি। পরবর্তিতে একাধিকবার ফ্ল্যাগ মিটিং এর মাধ্যমে সংঘর্ষ থামানো গেলেও বিরোধপূর্ণ জায়গার কোন সুরাহা হয়নি। বিলোনীয়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, ১৯৭১ সালে ভারত তৎকালীন ভারত ও বাংলাদেশ উভয় পক্ষের স্বাক্ষরিত ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির তোয়াক্কা না করে , এটা ভারতের অভ্যন্তরের জায়গা দাবি করে আসছিল। বাংলাদেশ তাতে অসন্মতি জানালে ভারত এটা (মুহুরীর চর) তাদের নিজের অংশ দাবী করে ২০১৭ সালে মামলা করে এবং তা এখনো চলমান রয়েছে।
অন্য প্রশ্নের জবাবে ওই সূত্র জানায়, করোনার কারণে আপাতত স্থল বন্দরের কাজ বন্ধ থাকলেও অভ্যন্তরে টুকিটাকি কাজ হচ্ছে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে আবার পুরোপুরি নির্মাণ কাজ শুরু হবে।এদিকে গত ২৬ শে মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরকালে মজুমদার সীমান্ত হাটের ওই বিরোধপূর্ণ জায়গায় উভয় দেশের সন্মতিতে সীমান্ত হাট করার ঘোষণা দেন ও স্বাক্ষর করেন।
এ ব্যাপারে মজুমদার হাট (বিলোনীয়া) বিজিবি সূত্র জানায়, এই মুহুরীর চরে মোট ৫৭ একর জায়গা আছে। গত মার্চে স্বাধীনতা দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে এখানে সীমান্ত হাট করার ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ই সন্মতিপত্রে স্বাক্ষর করে।
ওই সূত্র আরো জানায়, এখানে বিভিন্ন খতিয়ান ভুক্ত জায়গা রয়েছে তবে কোন খতিয়ানে কতটুকু জায়গা সীমান্ত হাটের জন্য লাগবে তা এখনো নির্ধারণ বা সরকারিভাবে জানানো হয়নি। করোনা সংকটের কারণে নির্ধারিত কাজ স্থগিত রয়েছে বলেও জানায় বিজিবি।
স্থলবন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ইব্রাহিম জানান, প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সীমান্ত হাট ও আনুষঙ্গিক কাজের জন্য বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অতিসত্বর সীমান্ত হাটের কার্যক্রম শুরু হবে।
উল্লেখ্য যে, যদি মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি অনুযায়ী নদী সীমানা মান্য করা হয় তাহলে মজুমদার হাট সীমান্তের উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের দক্ষিণ জেলা বিলোনীয়ার প্রায় অর্ধেক সীমান্ত বাংলাদেশের আওতায় পড়বে।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!