প্রফেসর মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম: দীর্ঘদিন করোনার দাপটে সরকার বাধ্য হয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। বারবার খোলার উদ্যোগ নিয়েও করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধিতে খোলা যাচ্ছে না। শিক্ষার্থীদেরকে ঝুঁকিতে না ফেলার জন্য এই ব্যবস্হা। ফলে শিক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চরম হুমকির মুখে নিপতিত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা হতাশায় নিমজ্জিত। সরকার সংকট থেকে উত্তোরনের জন্য নানাবিধ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আশাকরা যাচ্ছে, কিছুদিনের মধ্যে শিক্ষার্থীদেরকে ভ্যাকসিন দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিবে।অপরদিকে অনেক শিক্ষার্থীর চাকরির বয়স শেষের দিকে।করোনার এই বিপর্যয়ের মধ্যে চাকরি পাওয়া সোনার হরিণ পাওয়ার মতো।সৃষ্টিকর্তার কাছে আরাধনা তিনি শিক্ষাক্ষেত্রের সকল সংকট দূরীভূত করে আমাদের তরুণদেরকে হতাশা থেকে রক্ষা করবেন।আমি একজন শিক্ষক যখন কোন শিক্ষার্থী তার হতাশার কথা বলে তখন নিজেকে বড় অসহায় মনে হয়। ৩ দিন আগে এক শিক্ষার্থী বলে, আমার বাবা মারা গিয়েছে। টিউশনি করে কোনরকম নিজের ও পরিবারের খরচ চালাতাম।কিন্তু বর্তমানে টিউশনি নেই করোনার কারণে ঘরে রান্না করার চালও নেই। তাকে সর্বশেষ উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করতে বলি। পরিবেশ ক্লাব বাংলাদেশ নামে শিক্ষার্থীদের মাঝে পরিবেশ বিষয়ক আমার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আছে। তাই অনেকের অভাবের কথা শুনি।শিক্ষার সাথে লাইব্রেরি ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে বই ও শিক্ষা সামগ্রী বিক্রি নেই। দীর্ঘদিনের পেশা ছাড়তেও পারছেনা,তাই জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এমনি এক দূরাবস্থা দেখা যায়, ঢাকায় দনিয়া এলাকার এক লাইব্রেরিতে। দোকানে একটি অংশে আম বিক্রি করছে। জিজ্ঞেস করলে,বলে," কি করবো বই ও শিক্ষা সামগ্রী বিক্রি নেই তাই জীবিকা নির্বাহের জন্য কিছু করা।" আশাকরি এই দূরাবস্থা কেটে যাবে,পৃথিবী আবার সুস্থ্য হবে।শিক্ষা, শিক্ষার্থী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সচল হবে। জ্ঞান সংরক্ষণের লাইব্রেরি আবার চির চেনারুপে ফিরে আসবে।সবাই মাস্ক পরি,স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি। লেখকঃ শিক্ষাবিদ ও গবেষক এবং প্রতিষ্ঠাতা ও চীফ মেন্টর পরিবেশ ক্লাব বাংলাদেশ
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!