নিজস্ব প্রতিনিধি: ফেনীতে বিয়ের দেড় মাসের মাথায় সুচনা আক্তার (৩৮) নামের এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকালে ফেনী পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড শান্তিধারা আবাসিক এলাকার পেয়ার প্যালেসের ভাড়া বাসা থেকে ওই নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সুচনা আক্তার ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়ইয়া গ্রামের মৃত আবদুল করিমের মেয়ে। সুচনার মা ওই ইউপির সাবেক সদস্য মাহমুদা আক্তার। পরিবারের অবাধ্য হয়ে একাধিক বিয়েতে আবদ্ধ হওয়ায় তার সাথে পরিবার ও স্বজনের সম্পর্ক ছিলোনা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মার্চ মাসের শেষের দিকে পরিবারের অবাধ্য হয়ে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে শহরের কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকার বিসমিল্লাহ ফার্ণিচারের শ্রমিক জুনায়েদ আহমেদ সাগরকে বিয়ে করে সুচনা আক্তার। বিয়ের পর তিনি স্বামীকে নিয়ে শহরের শান্তি ধারা আবাসিক এলাকার পেয়ার প্যালেসের নিচ তলায় ভাড়া বাসায় ওঠেন। সোমবার বিকালে বাসার দারোয়ান পরিচ্ছন্নতার কাজ করার সময় জানালা দিয়ে গৃহবধুর নিথর দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। তাৎক্ষণিক পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। ঘটনার পর দেখতে আসা উৎসুক জনতার ভাষ্য, ফার্ণিচার শ্রমিক জুনায়েদ আহমেদ সাগর সুচনাকে প্রেম করে বিয়ে করেছে। এটি সাগরের দ্বিতীয় বিয়ে। শুধু তাই নয়; আত্মহননকারী সূচনাও এর আগে দুটি বিয়ে করেছে। পরিবারের অবাধ্য হওয়ায় সুচনার সাথে তার পরিবারের কোন সম্পর্ক নেই। বাড়ির মালিকের ছোট ভাই মনির আহাম্মেদ জানান, রমজানের কয়েকদিন আগে নিচতলায় ভাড়া নিয়ে সুচনা ও তার স্বামী বসবাস করে আসছিলেন। ঈদের কয়েকদিন আগে বাসায় তালা দিয়ে স্বামী-স্ত্রী দু’জন চলে যায়। ঈদের ৩দিন পর স্ত্রী সুচনা একা বাসায় এসে ঘরের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করেছে বলে দারোয়ান তাদেরকে জানায়। এদিকে বাড়ির দারোয়ান জানান, সোমবার দুপুরের পর ঘরের সাথে লাগোয়া ড্রেন পরিস্কার করে পানি ছাড়ার জন্য ওই গৃহবধুকে আমি ডাকাডাকি করি। সাড়া না পেয়ে দরজায় গিয়ে অনেকক্ষণ কলিং বেল চাপি। এতেও শব্দ না পেয়ে জানালা দিয়ে মোবাইলের লাইট মেরে দেখি গৃহবধুর নিধর দেহ পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক আমি বিষয়টি বাড়ির মালিককে জানিয়ে পুলিশে খবর দেই। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থৈয়াই অংপ্রু মারমা, ফেনী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রহীম সরকার ও এসআই সাইফুল আলম এসে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে থাকা এসআই সাইফুল আলম জানান, প্রাথমিক ভাবে লোকমুখে ওই নবদম্পতির একাধিক বিয়ের খবর জানতে পেরেছি। পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই নারী আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এঘটনায় নিহতের মা মাহমুদা আক্তার মামলা করতে কিছুটা অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। ফেনী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবদুর রহীম সরকার জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত গৃহবধুর মা মাহমুদা আক্তার থানায় এসেছে। কথাবার্তা চলছে। এবিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহন করা হবে।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!