স্টার ডেস্ক: উপ-মহাদেশের প্রখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ব সেলিম আল দীনের আজ ৭২ তম জন্মদিন। ১৯৪৯ সালের এইদিনে তিনি জন্মেছিলেন ফেনীর সোনাগাজী থানার সেনেরখিল গ্রামে। বাবা মফিজউদ্দিন আহমেদ ও মা ফিরোজা খাতুনের তৃতীয় সন্তান তিনি। শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ফেনী, চট্টগ্রাম, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও রংপুরের বিভিন্ন স্থানে। বাবার চাকরির সূত্রে এসব জায়গার বিভিন্ন স্কুলে পড়াশোনা করেছেন তিনি।
সেলিম আল দীন ১৯৬৪ সালে ফেনীর সেনেরখিলের মঙ্গলকান্দি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৬৬ সালে ফেনী কলেজ থেকে এইচএসসি। ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে গিয়ে ভর্তি হন টাঙ্গাইলের করোটিয়া সাদত কলেজে। সেখান থেকে স্নাতক পাসের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের বাংলা বিভাগ থেকে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়েই নাটকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন সেলিম আল দীন, যুক্ত হন ঢাকা থিয়েটারে। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা শেষে যোগ দেন বিজ্ঞাপনী সংস্থা বিটপীতে, কপি রাইটার হিসাবে।
১৯৭৪ সালে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসাবে যোগ দেন। ওই বছরই বেগমজাদী মেহেরুন্নেসার সঙ্গে বিয়ে হয় তার। তাদের একমাত্র সন্তান মইনুল হাসানের অকালমৃত্যু হয়। মধ্যযুগের বাংলা নাট্যরীতি নিযে গবেষণা করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। বাংলাদেশে একমাত্র বাংলা নাট্যকোষেরও তিনি প্রণেতা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালযের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠা সেলিম আল দীনের হাত ধরেই। ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সেলিম আল দীন ১৯৮১-৮২ সালে নাট্য নির্দেশক নাসিরউদ্দীন ইউসুফকে সাথি করে গড়ি তোলেন গ্রাম থিযেটার। আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবনাচরণকেন্দ্রিক এথনিক থিয়েটারেরও তিনি উদ্ভাবনকারী। গ্রাম থিয়েটারের মত প্রতিষ্ঠান যার মাধ্যমে কর্ষণ করেন, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও লোকনাট্য আঙ্গিকসমূহের রূপ, রীতি ও প্রকৃতি।তিনি বাংলা নাট্যের একটি সুনির্দিষ্ট আঙ্গিক নির্মাণে আমৃত্যু ছিলেন সচেষ্ট। বাঙালির সহস্র বৎসরের নন্দনতত্ত্বের আলোকে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সকল শিল্প চিন্তার বিভাজনকে নানান ব্যবচ্ছেদ পর্যালোচনা ও মূল্যায়নের পরিপেক্ষিতে এক নবতর শিল্পশৈলির প্রবর্তন করেন নাট্যাচার্য খ্যাত সেলিম আল দীন। তার প্রবর্তিত শিল্প ঘরানা হচ্ছে দ্বৈতাদ্বৈতবাদী।
সেলিম আল দীনের উল্লেখযোগ্য নাটকসমূহ : জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন' (১৯৭৫), 'বাসন' (১৯৮৫), 'মুনতাসির', 'শকুন্তলা', 'কীত্তনখোলা' (১৯৮৬), 'কেরামতমঙ্গল' (১৯৮৮), 'যৈবতী কন্যার মন' (১৯৯৩), 'চাকা' (১৯৯১), 'হরগজ' (১৯৯২), 'প্রাচ্য' (২০০০), 'হাতহদাই' (১৯৯৭), 'নিমজ্জন' (২০০২), 'ধাবমান', 'স্বর্ণবোয়াল' (২০০৭), 'পুত্র', ও ‘বনপাংশুল’।তিনি ২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় মসজিদের কাছে তাকে সমাহিত করা হয়।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!