নজরুল বিন মাহমুদুল: আমরা যখন কাউকে ভালো পাত্র-পাত্রীর সন্ধান দিতে বলি তখন তিনিও আফসোস করে বলেন, আমিও তো পাত্র-পাত্রী খুঁজছি আমার ভাই/বোন অথবা আত্মীয়স্বজনের জন্য ! এখন প্রশ্ন হলো এতো এতো ছেলে মেয়ের মধ্যে মানুষ ভাল পাত্র-পাত্রী খুঁজে পায় না কেন ? পেলেও অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে পায়। আসলেই কি আমাদের সমাজে ভাল পাত্র-পাত্রীর অভাব নাকি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি একে অপরের প্রতি সহনশীল নয় !
প্রত্যেক মানুষেরই কিছু না কিছু ত্রুটি থাকে আর সবমিলিয়ে আমাদের জীবন। বিবাহ বন্ধন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। সে অধ্যায়ের সূচনা আমাদের অনেক বেশি ভাবায় কেন ? কেউ কাউকে ছাড় দিতে চায় না। ছেলে পক্ষ যেমন মেয়ে পক্ষ তেমন। একটু উনিশ-বিশ হলেই ফর্দ হয়ে যাওয়া বিয়েও ভাঙার ঘটনা ঘটে থাকে আমাদের সমাজে। এমন হীন মানসিকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। কাবিন নিয়ে ছেলে পক্ষের যেমন অনেক কথা আছে তেমনি যৌতুক নিয়ে মেয়ে পক্ষকে হয়রানির ঘটনাও নতুন নয়। যা মোটেও কাম্য নয়। কাবিন নির্ধারণে যেমন ছেলের সক্ষমতা দেখা উচিত তেমনি যৌতুক নিয়ে মেয়ে পক্ষকে হয়রানি করা নিচু মনের পরিচয়।
বিবাহ একটি পবিত্র বন্ধন। বিবাহের মাধ্যমে নব দিগন্তের সূচনা হয়। আর সে বিবাহ যাতে কারো জীবনকে বিষিয়ে না তুলে সেজন্য ছেলে পক্ষ ও মেয়ে পক্ষ উভয়কেই আরো সহনশীল হতে হবে। বর্তমান সময়ে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা অহরহ ঘটছে। যেটি মোটেও ভাল ফল বয়ে আনবে না। বিবাহ বিচ্ছেদটা মূলত বিবাহ পূর্ববর্তী কিছু অসাবধানতার জন্য ঘটে থাকে। অনেক পরিবার মেয়ের অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিবাহ দেয় যার ফলশ্রুতিতে বিবাহ বিচ্ছেদে রুপ নেয়। বিবাহ বিচ্ছেদ মানেই জীবনের সকল আশা আকাক্সক্ষা আর ভালোবাসাকে নিজ হাতে হত্যা করা। কোন সচেতন ছেলে কিংবা মেয়ে চায় না নিজের জীবনকে বিষিয়ে তুলতে। কাজেই বিবাহের শুরু থেকে আমৃত্যু আমাদের একে অন্যের প্রতি সহনশীল ও সেক্রিফাইস করার মানসিকতা থাকতে হবে। মনে রাখবেন আপনার একটু সেক্রিফাইস শুধু আপনার জীবনকে নয় বরং আপনার পরিবারকে সুখে থাকার নিশ্চয়তা দিবে।
লেখক: সহ-সম্পাদক দৈনিক স্টার লাইন
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!