সুমন পাটোয়ারী: ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভার অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় হুমকির মুখে পরিবেশ। যত্রতত্র আবর্জনার স্তুপের দুর্ঘন্ধের কারণে জনজীবন ব্যহত হচ্ছে। এতে করে দেখা দিয়েছে নানাবিধ ব্যাধি। পৌর এলাকায় নির্দিষ্ট কোন ডাস্টবিন না থাকায় পৌর এলাকার দাগনভূঞা বাজারের ও দাগনভূঞা নামার বাজার আবাসিক এলাকার পতিত আবর্জনায় বন্ধ হয়ে গেছে দাদনার খাল’র প্রবাহমান স্রােতধারা।সময়মতো পরিষ্কার না করায় এসব আবর্জনা পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে ফলে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ ও রোগবালাই। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা।পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডে ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ের কারণে চর্ম রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এছাড়াও সরকারি ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ’র যাতায়াতের রাস্তায় ময়লা আবর্জনার স্তুপ প্রতিনিয়ত দেখা যায়। এতে কলেজে যাওয়ার পথে ছাত্র ছাত্রীদের দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। বৃহত্তর নোয়াখালী-ফেনী হাইওয়ে রোড়ের একদম পাশেই পৌরসভার একমাত্র খোলামেলা ডাস্টবিন। এতে করে যাত্রীদেরও অনেক সমস্যা হয়। আর এই ডাস্টবিনের পাশে দীর্ঘ দিন বসবাস করে আসছে বেধেরা। তারাও এই আর্বজনার গন্ধে নানা রোগে ভূগছেন। তাদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, তাদের বসবাসের আর কোন জায়গা না থাকায় তারা নানা সমস্যার মধ্যেও এখানে বসবাস করছেন। ৩ নং ওয়ার্ডে দাগনভূঞা উপজেলা ডাকঘরের সামনে আন্তঃজেলা মহাসড়কের পাশে তৈরী করা হয়েছে অপরিকল্পিত ডাষ্টবিন। এ ডাষ্টবিনে পৌর কর্তৃপক্ষসহ আশপাশ এলাকার ফল ব্যাবসায়ীরা প্রতিদিন কয়েক টন বর্জ্য ফেলছেন। বাজারের আবাসিক হোটেল রেস্তোরা সহ ঘরবাড়ীর বর্জ্য ও ফেলা হয় এখানে। ৭ নং ওয়ার্ডে ভাষা শহীদ সালাম মেমোরিয়াল কলেজ ও আন্তঃজেলা মহা সড়কের পাশেই পৌরসভার ময়লার ভাগাড়। সময় মত ঐসব বর্জ্য অনত্র না সরানোর ফলে বায়ু বাহিত বিভিন্ন জীবানু স্থানীয় জনসাধরণকে নানান রোগে আক্রান্ত করছে। পরিবেশ দূষণের কারণে বিভিন্ন রোগের মধ্যে চর্ম রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে মারাত্মক হারে। মানুষের শরীরে দেখা দিয়েছে দাউদ, একজিমা, শ্বাসকষ্ট, হাপানি, ফুসফুসে জ্বালা যšণনা সহ নানান রোগ। ব্যাপক হারে চুলকানি সহ বিভিন্ন চর্ম রোগে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন পৌরসভার বাসিন্দারা। বিভিন্ন রোগের মধ্যে চর্ম রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে মারাত্মক হারে।দাগনভূঞা উপজেলার গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু ছায়েদ বোরহান জানান, ডাস্টবিন থেকে ছড়ায় না এমন কোন রোগ নেই। ডাস্টবিন হলো বিভিন্ন রোগের আতুরঘর। শারিরীক সক্ষমতা হারানোর জন্য মারাত্মক ও কঠিন ভাবে দায়ী হলো ডাস্টবিন। ডাস্টবিনকে রোগ উৎপাদনের কারখানা ও বলা যেতে পারে।দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, শহরের বিভিন্ন স্থানে খোলা ডাস্টবিনের দূষিত বায়ু মানবিক ও সামাজিক জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট, হাপানি, চর্মরোগ, বিকলঙ্গ শিশুর জন্ম, অকাল গর্ভপাত সহ বিভিন্ন ঝুকিপুর্ণ রোগ। দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়া জানান, খোলামেলা ডাস্টবিনের দুর্গন্ধ মানজীবনে ক্ষতির কারণ। তবে এটি আমার নিয়ন্ত্রণে নয়। শহরের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার দায়িত্ব হলো পৌর মেয়রের। বিষয়টি নিয়ে মেয়রের সাথে কথা হয়েছে। পৌরসভার অভ্যন্তরে একটি ডাম্পিং স্টেশন করার জন্য স্থান নির্বাচনের কাজ চলমান রয়েছে। আশা করি কিছু দিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে। পাশাপাশি এখন যে স্থানে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে সেখানে নিয়মিত ব্লিচিং পাউডার সহ অন্যান্য জীবাণুনাশক ও দুর্গন্ধদূরীকরণ ওষুধ ছিটানোর জন্য বলা হয়েছে। দাগনভূঞা পৌরসভার মেয়র ওমর ফারুক খাঁন জানান, পৌরসভার অভ্যন্তরে একটি ডাম্পিং স্টেশন করার জন্য স্থান নির্বাচনের কাজ চলমান রয়েছে। আশা করি কিছু দিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে। পৌরবাসী যাতে কোন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন না হয় সেজন্য তিনি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!