বিশেষ প্রতিনিধি: ফেনীতে ক্রমেই স্বর্ণের বার ডাকাতি মামলার রহস্য বেরিয়ে আসছে। এ মামলায় গ্রেফতারকৃত স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপালের একসময়ের ব্যবসায়িক পার্টনার ভূট্টুর গ্রেফতার ও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীর পর এঘটনার অনেক রহস্যই এখন তদন্ত কর্মকর্তাদের হাতে চলে এসেছে। শনি ও রবিবার পৃথক দিনে রিমান্ড শেষ হলে পূনরায় বিভিন্ন মেয়াদে পুলিশ কর্মকর্তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয় আদালত। দাপ্তরিক আদেশের প্রেক্ষিতে রবিবার ফেনী মডেল থানা পুলিশ পরিদর্শক মো. মনির হোসেনের থেকে মামলার যাবতীয় নথি বুঝে নেন পিবিআই।পুলিশ, মামলার এজহার ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ৮ আগস্ট বিকালে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে ফেনীর ফতেহপুর এলাকায় ব্যবসায়ী গোপাল কন্তি দাসের গাড়ি থামিয়ে ২০টি স্বর্ণের বার লুটে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা। এ বিষয়ে গোপাল ১০ আগস্ট রাত সাড়ে ১১ টায় ফেনী মডেল থানায় ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। ওই রাতেই জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি সাইফুল ইসলামের বাসার আলমীরা থেকে ১৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে পুলিশ। একই সাথে গ্রেফতার করা হয় ঘটনায় অভিযুক্ত ডিবির ওসি মো. সাইফুল ইসলাম, এসআই মোতাহের হোসেন, এসআই নুরুল হক, মিজানুর রহমান, এএসআই অভিজিত বড়ুয়া ও মাসুদ রানাকে। ১১ আগস্ট তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করলে ওসির ৪ দিন ও বাকীদের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। ১৪ আগস্ট ৫ পুলিশ সদস্যের রিমান্ড শেষে পূনরায় ৩ দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেয় পুলিশ। পরদিন ১৫ আগস্ট পিবিআইয়ের পরিদর্শক শাহ আলমের আবেদনের প্রেক্ষিতে ওসি সাইফুল ইসলামকে আরো ৪ দিনের রিমান্ড দেয় আদালত। গ্রেফতার হওয়া ৬ পুলিশ সদস্যের রিমান্ডে ভিন্ন ভিন্ন বের হওয়ায় কিছুটা ধোঁয়াশার মধ্যে পড়েন তদন্তকারী কর্মকর্তা। কিন্তুু ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী গোপালের এক সময়ের ব্যবসায়িক পার্টনার ছমদুল করিম ভূট্টু চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে এ মামলার নানা তথ্য বেরিয়ে আসে। তবে এখনো অভিযোগকারী গোপালের স্বর্ণের পরিমান, সংখ্যা, বৈধতা ও উদ্ধার হওয়া স্বর্ণ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। এদিকে গণমাধ্যমে দেয়া এক বক্তব্যে মামলার বাদী গোপাল কান্দি দাস জানান, ফেনীর গোয়েন্দা পুলিশ তার কাছ থেকে ২০টি স্বর্ণের বার ডাকাতি করে। এসব স্বর্ণের ওজন ২ কেজি ৩৩০ গ্রাম। এর বাজার মূল্য ১ কোটি ২৭ লাখ ৮৪ হাজার ৬৩৬ টাকা। নাম প্রকাশে অনিশ্চুক একটি সূত্র মতে, জবানবন্দীতে ছমদুল করিম ভূট্টু জানিয়েছে, তিনি এবং গোপল দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামের হাজারী লেনের ইকুইটি কোহিনুর মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ‘আলো জুয়েলার্স’ নামের একটি স্বর্ণ দোকান পরিচালনা করতেন। ব্যবসায়িক বনিবনা না হওয়ায় তারা কয়েকমাস আগে পৃথক হয়ে যান। পরবর্তীতে ভূট্টুর দেয়া তথ্য ও পরিকল্পনায় ফেনীস্থ ডিবি পুলিশ ঢাকা-চট্টগ্রামের ফতেহপুরে গোপালের গাড়ি আটক করে স্বর্ণের বার নিয়ে যায়। এদিকে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশনায় রবিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মনির হোসেন থেকে তদন্তের দায়িত্ব বুঝে নেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহআলম। এরআগে শাহআলম ফেনীর সোনাগাজীতে আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলার তদন্ত করে প্রসংশিত হোন। এ বিষয়ে ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী জানান, স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দায়েরকৃত মামলায় ইতোমধ্যে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মাঝে পুলিশের ৬ কর্মকর্তার দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড চলছে। বাকী ১ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। এ মামলার তদন্তের বিষয়ে পুলিশ সর্বোচ্চ সজাগ ও সতর্ক রয়েছে। কোন অবস্থাতেই অপরাধীদের পার পাবার সুযোগ থাকবেনা বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!