নজরুল বিন মাহমুদুল: মানবজীবনে সাফল্য বলতে কি বুঝায় ? এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া খুব সহজ ব্যপার নয়। সাফল্য স্থান-কাল-পাত্রভেদে বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। জাগতিক জীবনে অর্থ, সম্মান, ক্ষমতা প্রভৃতি মানুষের পরম আকাক্সক্ষার বস্তু হিসেবে পরিচিত। যদিও সকল আকাক্সিক্ষত বস্তুর ষোল কলা কখনো পূর্ণ হয় না। তবুও বলা যায় যখন কোন ব্যক্তির কোন অর্জন অন্য অনেকের তুলনায় ছাড়িয়ে যায় তখন ঐ অর্জন বিবেচনায় তাকে আমরা সফল ব্যক্তি বলতে পারি। এ যুক্তিতে কোন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী বড় মাপের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, শিক্ষাবীদ, চলচ্চিত্রকার, খেলোয়াড়, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ত্ব বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ যারা নিজের অর্জন ও কর্মের মাধ্যমে পরিচিতি ও মানুষের শ্রদ্ধা ভালবাসা পেয়েছেন তাদেরকে আমরা সফল ব্যক্তি বলতে পারি। তেমনই একজন সফল মানুষ সোনাগাজী সরকারি কলেজ’র প্রভাষক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম। তিনি ১৯৯২ সালে ফেনীর পরশুরাম উপজেলার খোন্দকিয়া গ্রামের পিতা আলী নেওয়াজ ও মাতা আছিয়া আক্তার’র ঘর আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন। মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম পড়াশোনা শুরু করেন গ্রামের মক্তবে। এরপর পরশুরাম দারুল উলুম মাদ্রাসায় দু’বছর পড়ার পর দারুল আমান হাফেজিয়া মাদ্রাসা থেকে হেফজ সম্পন্ন করেন। এরপর উত্তর গুথুমা চৌমুড়ী দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল এবং বিরিঞ্চি সুফিয়া নুরিয়া মাদ্রাসা থেকে আলিম পাশ করেন।বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ইচ্ছা থাকলেও পারিবারিক কারণে ভর্তি পরীক্ষাও দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠেনি। কিন্তু থেমে থাকেনি তার পথ চলা। এরপর ফেনী সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগে ভর্তি হয়ে এখান থেকে তিনি বাংলা বিষয়ে অনার্স এবং মাস্টার্স সফলতার সাথে সম্পন্ন করেন।অনার্স শেষ করেই তিনি ফুলগাজী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে খ-কালীন শিক্ষক হিসেবে চাকুরী জীবন শুরু করেন। এখানে তিনি সুনামের সাথে প্রায় ২ বছর শিক্ষকতা করেন। এরপর বারৈয়ারহাট কলেজেও কয়েক মাস শিক্ষকতা করেছিলেন। তার কিছুদিন পর চাকুরী ছেড়ে বিসিএস প্রস্তুতির জন্য পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন। এছাড়াও তিনি ১৩ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। তিনি পরশুরাম উপজেলার পশ্চিম সাহেব নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেছেন।পরে তিনি ৩৮ তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে উর্ত্তীণ হয়ে সোনাগাজী সরকারি কলেজ’র বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম শিক্ষকতার বাইরেও তিনি একজন বই প্রেমী মানুষ হিসেবে পরিচিত। ছোট বেলা থেকেই তাঁর বই পড়ার অভ্যাস ছিল। তিনি বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সদস্য ছিলেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন। কাজ করে যাচ্ছেন সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের নিয়ে। তিনি বলেন, নিজেকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে প্রচুর পড়াশুনা করতে হবে। কেননা পড়াশুনার বিকল্প কিছু নেই। তাছাড়া বর্তমানে প্রায় সকল চাকুরীর জন্য একজন শিক্ষার্থীকে বাংলা ভাষা, সাহিত্য, ইতিহাস, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, ভূগোল, তথ্য-প্রযুক্তি এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে ধারণা থাকা আবশ্যক।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!