নিজস্ব প্রতিনিধি: সাংবাদিকরা যখন কোন দপ্তরের তথ্য জানতে চায়, তখন সেটা না এড়িয়ে যথাযথ তথ্য প্রদান করা তথ্য অধিকার আইনের অর্ন্তভূক্ত। ২০০৯ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে প্রথম অধিবেশনে তথ্য অধিকার আইন জাতীয় সংসদের পাশ করে। জনগণের মাঝে অবাধ তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে সরকার জনগণের সাথে জবাবদিহীতা রচিত হয় তথ্য প্রদানের মাধ্যমে। সে লক্ষ্যে তথ্য অধিকার আইন অতিব গুরুত্বপূর্ণ। তথ্য গোপন করা প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতা। বিশ্বের প্রায় দেশে তথ্য অধিকার আইন প্রচলিত রয়েছে। এতে করে তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে দপ্তরগুলো যেমন লাভবান হয় তেমনি ভাবে জনগণের তথ্য জানার আকাক্সক্ষা ও পূর্ণ হয়। এতে রাষ্ট্র তার জনগণকে তথ্য থেকে বিমুখ না করে বরং রাষ্ট্রীয় বা প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়ে সরকার বা প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে। মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত মন্তব্য করেন, ফেনীর জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান।জেলা প্রশাসক আরো বলেন, সাংবাদিকরা যদি নিরপক্ষভাবে অবাধ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে তবে বিভিন সরকারি দপ্তর ও প্রতিষ্ঠান স্বচ্ছ থাকবে। যারা ভূয়া সাংবাদিকতা করে মানুষকে ভূল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে প্রকৃত সাংবাদিকরা এদের বিষয়ে সতর্ক থাকবেন। একটি রাষ্ট্র চারটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। যথা- শাসন বিভাগ, বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ ও গণমাধ্যম। সাংবাদিকরা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করে। এজন্য সাংবাদিকদের জাতির বিবেক ও সংবাদপত্রকে জাতির দর্পণ বলা হয়। সুতারাং সাংবাদিকদের কাছে কোন তথ্য গোপন করা উচিত নয়। সাংবাদিকরা সমাজের শুধু বন্ধু নয়, তারা গণতন্ত্রের রক্ষাকবজ। প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক মানুষ আছেন, যাদের তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। এজন্য তরা প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়। এক্ষেত্রে সাংবাদিকরাই সাধারণ মানুষদের কাছে যথাযথ তথ্য পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিক পালন করেন। ‘তথ্য আমার অধিকার, জানা আছে কি সবার’ এই প্রতিপাদ্য ও ‘তথ্য আমার অধিকার, জানতে হবে সবার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাসুদুর রহামান’র সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (সাধারণ শাখা) লিজা আক্তার বিথী, সমাজসেবা ফেনীর উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ফেনীর উপ-পরিচালক মো. ইউসুফ আলী, পরিবার পরিকল্পন ফেনীর উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার চোধুরী, ফেনীর জেল সুপার মো. আনোয়ারুল করিমসহ সরকারি কর্মকর্তা, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। সভায় তথ্য অধিকার আইন নিয়ে তথ্যবহুল ভিডিও প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন, জেলা তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল রাব্বী মনির।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!