বান্দরবান প্রতিনিধি: টানা তিন দিনের বৃষ্টিপাতে বান্দরবানের ঐতিহ্যবাহী সাঙ্গু নদী যেন নতুন করে আবারো প্রাণ ফিরে পেয়েছে। গত কয়েকদিন আগে সাঙ্গনদীসহ শুকিয়ে গিয়েছিলো ঝিড়ি, ঝর্ণা যেখানে নিত্যপ্রয়োজনে ও গোসলের জন্য ঝিড়ি বা নদীর মাঝখানে গিয়ে পানির খোঁজ পাওয়া কঠিন হয়ে যেতো। সেখানে এখন থৈ থৈ পানি আর পানি।স্থানীয়রা জানান, কিছুদিন আগে উপজেলা সদর থেকে তিন্দু বা রেমাক্রী ইউনিয়নে যেতে ইঞ্চিন চালিত নৌকা তিনজন থেকে বেশী যাওয়া যেতনা। সেখানে এখন ৫ থেকে ছয়জন পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব হচ্ছে সাঙ্গনদীর পানি বৃদ্ধির কারণে। তবে প্রবল বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পাহাড় ধস ও নদী সংলগ্ন বাড়িঘর দোকানপাট, কৃষি খামার নদীর গর্ভে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।জানা যায়, বৃষ্টির কারণে উজান থেকে ঢলের সঙ্গে নেমে আসা মাটি ও বালুতে তলদেশ ভরাট হয়ে নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা কমে গেছে। আর প্রভাবশালীরা নদীর তীর দখল করে চলেছে। বনভূমি উজাড় এবং জলধারার পাথর তুলে পাচার করা হচ্ছে। এর ফলে কোথাও কোথাও নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে ব্যাপক ভাঙনের কবলে পড়ছে। আবার বর্ষায় সামান্য বৃষ্টিতে বন্যা হচ্ছে এবং শুকনো মৌসুমে পানির সংকট দেখা দিচ্ছে। এতে করে শুকনো মৌসুমে স্থানীয় এলাকাবাসী নিত্যপ্রয়োজনে ও গোসল জন্য ঝিড়ি বা সাঙ্গু নদীর মাঝখানে গিয়েও পানির খোঁজ পাওয়া কঠিন হয়ে উঠতো। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বহুমুখী টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হলে সাঙ্গু নদীর পানি ধারণক্ষমতা বেড়ে যাবে, শাখা-উপশাখাসহ নদীর ভাঙন কমবে, পাহাড় থেকে নেমে আসা জলাধারাগুলো রক্ষা করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে মরে যাওয়া জলধারাগুলো পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব হলে নদীর গতি প্রবাহও আগের মতো ফিরে পাবে বলে মনে করছেন স্থানীয় বিশেষজ্ঞ মহল।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!