এস এন আবছার: সোনাগাজীতে পানি উন্নয়ন বোর্ড’র (পাউবো) জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর পুণরায় স্থাপনা নির্মাণ চালাচ্ছে স্থানীয় দখলদাররা। পানি উন্নয়ন বোর্ড’র অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সোনাগাজীতে দীর্ঘদিন ধরে এসব ভাঙ্গা গড়ার খেলা চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, সোনাগাজীর মুহুরী রেগুলেটর এলাকা, সোনাপুর ও নবিউল্যাহর বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চলতি বছরের জুলাই মাসে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালায় পাউবো। অভিযানের ৫ মাস অতিবাহিত হওয়ার আগেই উচ্ছেদকৃত স্থানে পুণরায় স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেছে স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানায়, চলতি বছরের মার্চ মাসে সোনাগাজীর নবিউল্যাহর বাজারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ১০৩ টি অবৈধ স্থাপনা ঘুটিয়ে দেয়া হয়। একই মাসে সোনাপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে ১৬ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। সে সময় দখলদাররা অভিযোগ করেছিল পাউবোর কর্মকর্তারা মাসোহারা নেওয়ার পরও কেন তারা উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছেন এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একই সময় অন্তত ১০ টি অভিযানে প্রায় ৫ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। উচ্ছেদকৃত এসব স্থানে পাউবোর কর্মকর্তাদেরকে ম্যানেজ করে পুণরায় স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেছে স্থানীয়রা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মুহুরী প্রজেক্ট রোডের সোনাপুর বাজার সংলগ্ন আমতলী এলাকায় উচ্ছেদকৃত ভূমিতে সেমিপাকা দোকান ঘর নির্মাণ করছেন ফকির আহম্মদ নামে এক ব্যক্তি। কিভাবে সরকারি জায়গায় ঘর নির্মাণ করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমাকে এখানে ঘর নির্মাণ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস থেকে মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি।
শুধু আমতলী নয় মুহুরী রেগুলেটর এলাকা ও নবীউল্যাহর বাজারসহ পুরো উপজেলায় এখন পাউবোর জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় দখলদারিত্বের উৎসব চলছে। কিন্তু পাউবোর কোন সাড়াশব্দ দেখা যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন পানি উন্নয়ন বোর্ড’র অসাধু কর্মকর্তারা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নামে চোর পুলিশ খেলায় মেতেছে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসব অবৈধ দখলদার থেকে অনৈতিক আর্থিক সুবিধা নেয়ায় কোন অভিযানই ফলপ্রসু হচ্ছেনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো: শরিফ বলেন, ফকির আহমদ কর্তৃক উচ্ছেদকৃত ভূমিতে পুনরায় ঘর নির্মাণের বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে সতর্ক করা হয়েছে। তবে তাকে লিখিত কোন নোটিশ করা হয়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নুরুন্নবী দৈনিক স্টার লাইনকে জানান, উচ্ছেদকৃত স্থানগুলোতে পুনরায় স্থাপনা নির্মাণের বিষয়টি আমরা শুনেছি। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই প্রতিবেদক প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে পরামর্শ দিলে তিনি নিরোত্তর থাকেন। তিনি আরো বলেন, পাউবোর কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী উচ্ছেদকৃত স্থানে স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনরুপ অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছেনা।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!