নিজস্ব প্রতিনিধি:ইকবাল হোসেন সাব্বির। উপজেলা চম্পকনগর গ্রামের মন্তুমিয়া বাড়ীর হাজী আবু তাহের ও জুলেখা বেগমের ৩য় পুত্র। এইচএসসি পাশ করে সাংবাদিক পেশায় কাজ করছে সে। পাশাপাপাশি মানবিক সংগঠনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। মুক্তির একাত্তর টুয়েন্টিফোর ডটকমে লেখালেখির মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করে সাব্বির। বর্তমানে সে টাইমস বাংলা নিউজ ডটকমের প্রধান বার্তা সম্পাদক, ফেনীর প্রতিদিন ডটকমের বার্তা সম্পাদক, প্রত্যহ নিউজের নিজস্ব প্রতিনিধি ও ফুলগাজী নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের ছাগলনাইয়া প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।সামাজিক সংগঠন চম্পকনগর ইউনাইটেড ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে আসছে এবং বঙ্গবন্ধু ব্লাড ব্যাংক ছাগলনাইয়া'র শুভপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও কাজ করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে সে। করোনা পরিস্থিতিতেও টিকা দানে স্বেচ্ছাসেবীর কাজ করেছিল এই সাব্বির এবং বঙ্গবন্ধু ব্লাড ব্যাংকের জয় বাংলা অক্সিজেন সেবা প্রদানে সাব্বিরের ভূমিকা ছিল ব্যাপক প্রশংসনীয়। কিন্তু গত ৩০ জুন শুক্রবার শুভপুর বাজারে এলাকার একটি সাল্লিশ বৈঠক আছে বলে সাব্বিরকে আছরের নামাজ পড়ার পরে সিএনজি যোগে শুভপুর নতুন বাজারে নিয়ে যায় রফিকুল ইসলাম নামের ওই এলাকার এক জামাতা। শুভপুর নতুন বাজারে ইউপি চেয়ারম্যানের অফিসে সামনে গেলে জয়পুর গ্রামের ইউপি সদস্য সবুজ মেম্বারসহ অফিসের পাশের একটি দোকানে চা খেতে যায়। চা খাওয়া শেষ হওয়ার আগেই চম্পকনগর ও জয়পুরের লোকজনের মধ্যকার মারামারি শুরু হয় । মারামারির এক পর্যায়ে জামাই রফিকুল ইসলামের সাথে থাকা টিপ চুরির আঘাতে রবিউল হক ছায়েদ ঘটনাস্থলে লুটে পড়ে এবং ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মারা যায়। ঠিক তখনই শুভপুরের নতুন বাজারের লোকজন চম্পকনগর থেকে আসা লোকজনের ওপর ব্যাপক ছড়াও হয় এবং হামলা চালায়। এতে করে জয়পুরের সবুজ মেম্বারের সাথে থাকা সাংবাদিক সাব্বিরকে দ্রুত ইউপি চেয়ারম্যানের অফিসে ডুকতে বলে। সেই অফিসে সাব্বির প্রবেশ করে আত্মরক্ষার জন্য। এর পরপর চম্পকনগর থেকে আসা জামাই খুনি রফিকসহ ৯জন আশ্রয় নেয় ওই অফিসটিতে। পরিস্থিতি আরো উতপ্ত হইলে সেই অফিস থেকে সাব্বিরকে আর বের করা গেল না। বের হলেই বিক্ষুব্ধ জনতা আটকে পড়া সবাইকে মেরে ফেলার হুমকি রয়েছে। পরে ছাগলনাইয়া থানা পুলিশ ওই অফিসে আশ্রয় নেওয়া সবাইকে থানায় নিয়ে যায় এবং নিহত ছায়েদের মা বাদী হয়ে সাব্বিরসহ ১২জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এভাবে নিউজ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক ইকবাল হোসেন সাব্বির ফেঁসে যায়। ঈদের পরের দিন ঘটে যাওয়া ঘটনাটি ঘটেছিল ছাগলনাইয়ার শুভপুরের সোনাপুর ও চম্পকনগর মধ্যবর্তী স্থানে প্রতিষ্ঠিত সমসের গাজীর বাগানের একুল্লা দিঘীর পাড়ে। ঘটনার সূত্র পাত, শুভপুর চম্পকনগরে এককুল্লায় বোনকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ভাই রবিউল হক সাঈদ (২২) কে চম্পকনগরের জামাই রফিকুল ইসলামের ছুরিকাঘাতে খুন হয়। পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, ঈদের পরদিন শুক্রবার (৩০ জুন) বিকেলে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নে রবিউল হক সাঈদ তার বোনকে নিয়ে উপজেলার পর্যটন স্পট এককুইল্লা দিঘী নামক স্থানে বেড়াতে যায়। ওই সময় চম্পকনগর এলাকায় রফিকসহ আরো কয়েকজন তার বোনকে নিয়ে আজেবাজে কথা বললে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে রফিক ছাড়া বাকীরা পালিয়ে যায়। তারপর ছায়েদ রফিককে কয়েকটি তাপ্পড দে এবং জয়পুর নিয়ে যাবে বলে কলার ধরে টানতে থাকে। পরবর্তীকালে বিষয়টি বাগানের ৩০ বছরের অধিক সময়ে দায়িত্বে থাকা এক মুরুব্বি মিমাংসা করে দে। কিন্তু বিষয়টি রফিকগংরা মেনে নিতে না পেরে জয়পুর ওয়ার্ড মেম্বার সজিব অবহিত করে। সজিব প্রথমে বকাবকি করলেও বিষয়টি মিমাংসা করে দিবে আশ্বস্ত করেন। বিকেলে রফিকগংরা শুভপুর নতুন বাজারে গেলেও মেম্বার তখনও না আসায় রফিকরা মেম্বারের বাড়ীতে গিয়ে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে মিমাংসা বৈঠক শুরু হওয়ার আগে সজিব মেম্বার ও সাংবাদিক সাব্বির চা খেতে যায় এবং চা খাওয়া শেষ হওয়ার আগেই দু'পক্ষ মারামারীতে জড়িয়ে পড়ে। এক পযায়ে জামাই রফিক তার সাথে থাকা টিপ চুরি দিয়ে ছায়েদকে ছুরিকাঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সাথে সাথে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের মা বিবি মরিয়ম (৪৮) বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!