নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০১৫ সালে বিভাজনের কারণে সিলগালা করে দেয়া ফেনী প্রেসক্লাব দীর্ঘ ছয় বছর পর খোলা হয়েছে। সোমবার সকাল ১১ টার দিকে ফেনী প্রেসক্লাবের ৪ গ্রুপ’র নেতৃবৃন্দ একত্রিত হয়ে ক্লাবের তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেছেন। এরপর সাংবাদিকরা ফেনী মুক্ত দিবস উপলক্ষে শহরের জেল রোড়স্থ শহীদ স্মৃতিস্তম্বে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। প্রায় ৭০ জন নবীন ও প্রবীণ সাংবাদিক’র উপস্থিতিতে বিকাল ৩ টায় ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ফেনী জেলা প্রশাসকের সাথে মতবিনিময় করেন।
এসময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসককে জানান, আমাদের মতের অমিল থাকলেও কখনই মনের অমিল ছিল না। আজ আমরা মতের এবং মনের মিল নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আপনার কাছে এসেছি। দীর্ঘ ৬ বছর নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে সাংবাদিকরা এতিমের মত দিন পার করে আসছিল। আমাদের বসার জায়গা ছিল না। নবীন ও প্রবীণদের সাথে সম্পর্ক ছিল না, পরিচয়ও ছিল না। ফলে পেশাগত কারণে বিভিন্ন জায়গায় আমরা নিজেরাই নিজেদের নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। আজ ফেনী মুক্ত দিবসের উৎসবমুখর পরিবেশে সব ভেদাবেদ ভুলে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি এবং প্রেসক্লাবে প্রবেশ করেছি। এতে আমাদের ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ক্লাবটি পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আসগর আলী। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সাংবাদিকদের আপন ঠিকানাটি ফিরে পেয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের মাঝে উচ্ছ্বাস দেখা যায়।প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আবু তাহের জানান, অর্ধযুগ পর্যন্ত ফেনী প্রেসক্লাব তালা বদ্ধ থাকায় সাংবাদিকদের মাঝে অনৈক্যের গভীরতা বেড়ে যায়। সাংবাদিকদের রিক্রিয়েশনের এ জায়টি বন্ধ থাকায় গ্রুপিং’র কারণে জেলায় সুশীল ব্যক্তিদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রীয়া দেখা দেয়। এক পর্যায়ে সব কমিটি একমত পোষণ করে ক্লাবটি খোলার সিদ্ধান্তে আমি সহমত পোষণ করি। এবিষয়ে ফেনী ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির নব-নির্বাচিত সভাপতি ও সুজন’র ফেনী জেলা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমরা জেলার সকল সাংবাদিকরা চাই জেলার প্রাচীন এই সাংবাদিক সংগঠনটিতে প্রাণ ফিরে আসুক। বিভেদ ভুলে সকল সাংবাদিকরা এক ছাদের নিচে গল্পে মেতে উঠুক। প্রেসক্লাব’র তালা উন্মুক্ত হওয়ায় সাংবাদিকদের মাঝে নতুন করে প্রাণ সঞ্চারিত হবে। পেশাগত সাংবাদিকদের অনৈক্যের কারণে অপেশাদাররা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আশা করব সে অবস্থার অবসান ঘটবে।
এরআগে সাংবাদিকদের মাঝে বিভাজনের কারণে আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশংকায় ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর ক্লাবটিকে সিলগালা করে দেয় প্রশাসন। এরপর অবস্থার উন্নতি হলে খুলে দেয়া হয়। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৩ মে আবার ফেনী প্রেসক্লাব সিলগালা করা হয়।
ফেনী প্রেস ক্লাব’র সব কমিটি বিলুপ্ত: নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ফেনী প্রেস ক্লাব’র তালা উন্মুক্ত করা হয়েছে। সোমবার সকালে বিভক্ত প্রেসক্লাব’র নেতৃবৃনদ ঐক্যমত পোষণ করে অবিভক্ত প্রেসক্লাব’র সিলগালা তালা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে। দীর্ঘ ৬ বছর পর প্রেসক্লাব’র অচলাবস্থা নিরসন হওয়ায় ফেনীর মিডিয়া কর্মীদের মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। ফেনী প্রেসক্লাব খোলার পূর্ব মূহুর্তে সব কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা নিজ নিজ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে ক্লাবের গঠনতন্ত্র সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজন করার পর সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক ধারায় ক্লাব’র নির্বাচনের মধ্য দিয় কমিটি গঠন করা হবে। তার আগে অন্তর্বতীকালীন সময় (নূন্যতম ২ বছর) ক্লাবটি সকল সাংবাদিকের জন্য উন্মুক্ত রাখার ঘোষণা দেন ক্লাব নেতৃবৃন্দ। প্রেসক্লাব ফেনীর গণমাধ্যম কর্মীদের রিক্রিয়েশন ক্লাবে পরিণত হোক এই প্রত্যাশা সকল সাংবাদিকের। সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ও দৈনিক স্টার লাইনের সহযোগী সম্পাদক জসিম মাহমুদ জানান, গণমাধ্যম অঙ্গনে ফেনী একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। ফেনীর বহু সাংবাদিক জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ সাংবাদিকদের সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে ছিলেন ও আছেন। সাংবাদিকতার আতুর ঘর ফেনী কোন অবস্থাতেই বিতর্ক হোক, কলঙ্কিত হোক ফেনীর নাগরিক হিসেবে তা আমি চাই না। দীর্ঘদিন ফেনী প্রেসক্লাব সিলগালা থাকায় সাংবাদিকদের বসার কোন জায়গা ছিলোনা। সবার ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রেসক্লাবটি খুলে দেয়ায় ভালো লাগছে। আবার গণমাধ্যম কর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হবে ফেনী প্রেসক্লাব অঙ্গন। এমনটিই প্রত্যাশা করেন তিনি।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!