নিজস্ব প্রতিনিধি: ফেনীর পরশুরামে অভিনব কায়দায় প্রবাসীর স্ত্রীকে নির্যাতনের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় ননদ ও তার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে ফুলগাজী থানা পুলিশ।পুলিশ, মামলার এজহার ও স্থানীয়রা জানায়, ৫ বছর আগে ফুলগাজীর খালেদা ইসলাম অমির সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়া গ্রামের চৌধুরী বাড়ির আবুল হাসেমের ছেলে প্রবাসী লিখন আহমেদের সাথে। বিয়ের পর থেকে লিখনের মা ও ভাই-বোনরা মিলে খালেদাকে যৌতুকের জন্য নানা নির্যাতন করতে থাকে।খালেদার মা শাহেন আরা বেগম জানান, গত ৭ আগস্ট রাতে খালেদাকে একটি বিষধর সাপ কাটে। খালেদা মৃত্যুর যন্ত্রণায় চপপট করলেও তাকে কোন চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। পরদিন বিকালে পাশের এলাকার একজন সাপুড়ে এনে পূনরায় সাপ দিয়ে আমার মেয়েকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের ভিডিও ও ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আমি দ্রুত মেয়ের বাড়ি থেকে তাকে উদ্দেশ্য করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসি। কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শ মতে খালেদাকে গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৮দিন চিকিৎসা নেয়ার পর খালেদাকে স্বামীর বাড়িতে না দিয়ে আমার ফুলগাজীর বাড়িতে নিয়ে আসি।
গৃহবধূর মা আরো জানান, সাপে কাটার পর চিকিৎসা না পাওয়ায় আমার মেয়ে বোবা হয়ে গেছে। আমার মেয়ে এখন কোন কথা বলতে পারছেনা। খালেদাকে বাড়িতে নিয়ে আসার পর খবর পেয়ে লিখনের মা সহ আরো লোকজন আমাদের বাড়িতে এসে আমার মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে যাবার সময় আমরা বাধা দিই। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদের বাড়ি ঘরে হামলা করে৷ এবিষয়ে আমি ফুলগাজী থানায় মামলা করেছি। ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএনএম নুরুজ্জামান জানান, গৃহবধূ নির্যাতন ও হামলার ঘটনায় মামলার পর পুলিশ চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকা থেকে আসামী হাসিনা আক্তার ও আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তারা দুজন স্বামী-স্ত্রী বাকী আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ সক্রীয় রয়েছে।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!