নিজস্ব প্রতিনিধি: সোনাগাজীর চরলক্ষীগঞ্জ হাফেজ সামছুল হক নুরানী ও হাফেজীয়া মাদরাসার হিফজ বিভাগে শিক্ষকদের দ্বারায় ছাত্র ধর্ষণের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালত এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সোনাগাজী মডেল থানার ওসি ও দাগনভূঞা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত (২২ আগস্ট) রাতে সোনাগাজী চরলক্ষীগঞ্জ হাফেজ সামছুল হক (র.) নূরানী হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার হেফজ বিভাগের ছাত্র আরাফাত হোসেনকে ধর্ষণ করে ঘটনা জানাজানি হওয়ার ভয়ে তাকে গলাটিপে হত্যা করে মাদরাসা সংলগ্ন দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউপির মোমারিজপুর গ্রামের একটি ডোবায় লাশ ফেলে দেয় প্রধান শিক্ষক মোশাররফ হোসেন।আদালতের একটি সূত্র জানায়, ওই মামলায় গ্রেফতারকৃত প্রধান শিক্ষক মোশাররফ হোসেনকে ৪ দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা করা হলে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।
জবানবন্দীতে মোশাররফ জানায়, তিনি ২০১১ সাল থেকে ওই মাদরাসা পরিচালনা করে আসছেন। এযাবৎকালে অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জন ছাত্রকে তিনি ধর্ষণ করেছেন। তন্মধ্যে খুন হওয়া আরাফাতসহ বর্তমানে অধ্যয়নরত ৬ জন ছাত্রকে তিনি ধর্ষণ করেন। তার জবানবন্দীতে উঠে আসে ওই মাদরাসার গ্রেফতারকৃত অন্য শিক্ষক মো. নুর আলীর ধষর্ণের নানা বিকৃত ঘটনা। আদালতকে মোশাররফ জানায়, শিক্ষক নুর আলী ওই মাদরাসায় পড়ুয়া ৩ ছাত্রকে ধর্ষণ করার পর তার কাছে অভিযোগ আসে। তিনি নুর আলীকে বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে তা স্বীকারও করেন।
মোশাররফের জবাবন্দী পর্যালোচনায় দেখা যায়, তিনি বর্তমান ছাত্রদের ৬ জনকে ধর্ষণ করেন। অন্য শিক্ষক নুর আলী ৩ জনকে ধর্ষণ করেছেন। এমতাবস্থায় ওই মাদরাসার ৯ জন ছাত্রকে ধর্ষণ ও অন্যান্য ছাত্রদের ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম পলাশ ও দাগনভূঞা থানার ওসি ইমতিয়াজ আহমেদকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!