দিলরুবা জামান ইতালি থেকে: বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী ও ইউরোপের সবচেয়ে বড় আকর্ষণীয় ভেনিস কার্নিভাল শুরু হয়েছে। প্রতিবছর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ও ফেব্রুয়ারি মাসে এই সময় টাতে কার্নিভাল উপলক্ষে ভেনিসে জড়ো হয় সারাবিশ্বের লাখো পর্যটক। প্রায় ১৮ দিনের টানা কার্নেভাল উৎসবে শীতের মাঝে ইউরোপের আনন্দের নগরীতে পরিণত হয় ভেনিস। শহরের প্রতিটি পথেঘাটে বসে পর্যটনের পসরা। সড়কে জ্বলে ঝলমলে আলো, রঙিন রাজকীয় পোশাক আর ঐতিহ্যবাহী মুখোশে আবৃত মানুষ মেতে ওঠেন উৎসবের রঙে।ভেনিস কার্নিভালের বড় আকর্ষণ থাকে নানান শোভাযাত্রাকে ঘিরে, থাকে নৌ-প্যারেড, ডিজে সেট, কনসার্ট এবং বাহারি খাবারের আয়োজন। তবে করোনার ভয়াল থাবায় দুই বছর কার্নিভাল বন্ধ ছিল ভেনিসে। এতে একরকম স্থবির হয়ে পড়েছিল পর্যটন শিল্পে বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী শহর ভেনিসের অর্থনীতি। শহর জুড়ে প্রায় তিনশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক প্রবাসী বাংলাদেশীরা। করোনাকালীন খারাপ সময় কাটিয়ে বর্তমানে প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা পুরোদমে এগিয়ে চলেছে। ভেনিস কার্নেভালের সবচেয়ে আকর্ষণীয় যে মাস্ক, সেইসব মুখোশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অধিকাংশ নিয়ন্ত্রক ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা। ১৪০০ সালের শেষ দিকে যে কার্নেভাল উৎসব শুরু হয়েছিলো ভেনিসে, তা এখন ইতালি ও বিশ্ব ঐতিহ্য। উৎসবে মেতেছে ভেনিস সেই সঙ্গে খুশি প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা, কারন ভেনিসের পর্যটকদের হাতে শোভা পাচ্ছে বাংলাদেশী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মুখোশ।এই উৎসবে স্থানীয় বাসিন্দার প্রতিযোগিতায় নামে নিজেদের ঐতিহ্যবাহী কারুকার্য প্রদর্শনেরও। বাহারি এসব পোশাকের কোনও কোনওটি তৈরিতে সময় লেগে যায় প্রায় এক মাস। ইতালির স্বপ্নের শহর ভেনিস সেজেছে অপরূপ সাজে।তুষারপাতের এই সময়ে কার্নিভালকে উপলক্ষ্য করে আসতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। আর এরই সঙ্গে সঙ্গে করোনা পরবর্তী সময়ে ইতালির অর্থনীতির চাকা ফের সচল হতে শুরু করেছে। কার্নিভালে স্থানীয়দের পাশাপাশি বাংলাদেশি অসংখ্য পরিবার মেতে উঠেছে আনন্দে। তারা বলছেন, করোনা পরবর্তীতে দীর্ঘদিন পর ইতালিতে মুক্ত পরিবেশে কার্নিভালের অনুমতি মিলেছে। যা ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দাভাব দূর করবে বলে আশা প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!